সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শেষ হতেই পাকিস্তানের বিমানে উঠেছিলেন নাহিদ রানা। উদ্দেশ্য-পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলা। তবে সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো অভিষেক হয়নি বাংলাদেশের এই তরুণ পেসারের। ভক্তদের অপেক্ষাও তাই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।
২৭ এপ্রিল পাকিস্তানে পৌঁছান রানা। ততদিনে পেশোয়ার জালমি খেলেছে ৫টি ম্যাচ। রানা যোগ দেওয়ার পরও তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে দলটি, কিন্তু একাদশে সুযোগ হয়নি ২২ বছর বয়সী এই পেসারের। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তবে কারণটা বেশ স্পষ্ট।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) রানাকে পিএসএলে খেলার অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দিয়েছে আংশিক সময়ের জন্য-শুধু সিলেট টেস্টের পর থেকে। এই সময়সীমা সীমিত হওয়ায় এবং দলে বিকল্প শক্তিশালী পেসার থাকার কারণে রানার জন্য সুযোগ পাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে।
রানার বদলি হিসেবে নেওয়া হয় ইংলিশ পেসার লুক উডকে, যিনি দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন-৬ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৬.৯৪ ইকোনমি রেটে। অন্যদিকে ক্যারিবীয় পেসার আলজারি জোসেফ কিছুটা খরচালু হলেও (৮.৮০ ইকোনমি), উইকেট শিকারেও পিছিয়ে নেই-৮ ম্যাচে ১২ উইকেট। সবশেষ ম্যাচেও ৩ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন তিনি।
পেশোয়ারের সাম্প্রতিক জয়জয়কার পারফরম্যান্সেও রানার একাদশে না থাকা নিয়ে সমর্থকদের মাঝে হতাশা বাড়ছে। মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে তাদের জয় প্রমাণ করেছে, উড-জোসেফদের পারফরম্যান্সে টিম ম্যানেজমেন্ট এখনো আস্থা রাখছে।
এদিকে পেশোয়ার ৮ ম্যাচ শেষে ৪ জয়ে তালিকায় পাঁচে রয়েছে। প্লে-অফে উঠতে হলে বাকি দুই ম্যাচেই জিততে হবে বাবর আজমদের। এখন দেখার বিষয়, টিম ম্যানেজমেন্ট রানাকে সুযোগ দেয় কি না, নাকি বরাবরের মতো একাদশে জায়গা করে নেন পুরনো মুখগুলোই।
নাহিদ রানাসহ বাংলাদেশের আরও দুই ক্রিকেটার এবারের পিএসএলে দল পেয়েছিলেন। করাচি কিংসের লিটন দাস চোটের কারণে ম্যাচ খেলতে না পারলেও, লাহোর কালান্দার্সের রিশাদ হোসেন ৫ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে নজর কেড়েছেন।
Discussion about this post