কিছুতেই ক্লাবগুলোকে নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নাকি শর্ষেই ভুত-তা স্পষ্ট নয়। এর আগে বকেয়া পাওনার দাবিতে বিসিবিতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ভিক্টোরিয়ার ক্রিকেটাররা। তাদের আশ্বাস দিয়ে রেখেছেন কর্তারা। ঈদের আগে ক্রিকেট কোচিং স্কুল (সিসিএস) ও কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির বকেয়া পাওনা নিয়ে অনেক নাটক হয়েছে। এবার সেই একইভাবে পারিশ্রমিকের জন্য বোর্ড কর্তাদের সহযোগিতা চাইল প্রিমিয়ার লিগের আরেক ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
২২ জুন শেষ হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। কিন্তু এখনো কয়েকটি দলের ক্রিকেটাররা তাদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক বুঝে পাননি। তারই একটি ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দলটির ক্রিকেটাররা পাওনার দাবিতে মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন মঙ্গলবার। শাহরিয়ার নাফীস, নাফিস ইকবাল, সঞ্জীত সাহা, নাবিল সামাদ’সহ দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার কথা বলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে। সেখানে অবশ্য অাশ্বাস মিলেছে। বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান প্রধান নির্বাহী।
নিয়ম অনুযায়ী লিগের শুরুতে চুক্তির ৩০ শতাংশ, সুপার লিগের শুরুতে ৩০ শতাংশ আর লিগ শেষ হওয়ার ৬ সপ্তাহের মধ্যে বাকি ৪০ শতাংশ বুঝে পাওয়ার কথা ছিল ক্রিকেটারদের। কিন্তু ব্রাদার্সের ক্রিকেটাররা পেলেন মাত্র ৩০ শতাংশ অর্থ।
সংগত কারণেই হতাশ ব্রাদার্সের ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফীস। তিনি বলেন, ‘ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো কিছুই হচ্ছে না। রোজার ঈদের আগে তারা একটা আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর পাওনার ব্যাপারে কোনো আশ্বাস বা আলোচনা করেননি। আমরা মাত্র ৩০ শতাংশ টাকা পেয়েছি। এই সময়ের মধ্যে শতভাগ পেয়ে যাওয়ার কথা ছিল।’
হতাশ নাফীস আরো বলছিলেন, ‘দেখুন, ঈদের আগে দুটি ক্লাবের পেমেন্ট বিসিবি করে দিয়েছে। ৭০ ভাগ বাকি আছে। শতভাগ দেয়ার ডেডলাইন শেষ। আমরা বলেছি, পাওনার ব্যাপারটা যাতে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। আশা করছি সুখবর পাবো।’
এই প্রিমিয়ার লিগই ক্রিকেটারদের আয়ের বড় উৎস। সেখানে পারিশ্রমিক না পেয়ে দিশেহারা ক্রিকেটাররা তাকিয়ে বোর্ডের দিকে।
Discussion about this post