বাংলাদেশ নিশ্চিত করেই তার জন্য আবেগের এক জায়গা। কারণ তার স্ত্রী যে ফিরোজা হোসেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। এটা হিসেবে রাখলে মঈন আলি বাংলাদেশের জামাই। ইংল্যান্ডের এই তারকা ক্রিকেটারের শ্বশুরবাড়ি সিলেট। অবশ্য নিজে এর আগে কখনোই আসতে পারেন নি সিলেটে। কিন্তু এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে এসে পা রাখলেন চায়ের শহরে। যেখানে তার স্ত্রীর আদিবাড়ি!
সিলেটে পা দিয়ে দারুণ খুশি মঈন আলি। জানালেন কিছু সিলেটী শব্দও শিখে নিয়েছেন তিনি। রোববার সিলেটে নিজ দল কুমিল্লার ভিক্টোরিয়ান্সের অনুশীলনের ফাঁকে মঈন বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার বাড়ি, পাকিস্তান আমার বাড়ি। ইংল্যান্ড বাড়ি। জায়গাগুলো আমার কাছে একই। আমার শ্বশুর এখানে আছেন। তাদের প্রতি আর সিলেটের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। তারা সব সময় বলে, চলো সিলেটে যাই। কিন্তু কোনোভাবেই পারি না। এখন এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে। খুব খুশি আমি।’
আরও যোগ করলেন, ‘আমি কিছু সিলেটি শব্দ জানি। আরো কিছু জানতে পারলে খুশি হতাম। আশা করছি নতুন কিছু শব্দ শিখতে পারব। হোটলে যারা আছে তারা আমার সঙ্গে সিলেটি ভাষায় কথা বলে। এজন্য আমাকে চেষ্টা করে শিখতে হবে।’
মঈন আলির জন্ম, বেড়ে উঠা বার্মিংহামে। তার পূব পুরুষরা অবশ্য পাকিস্তানের। তার স্ত্রী ফিরোজা হোসনের শেকড় সিলেটে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে আধা কিলোমিটার দূরত্বে পীর মহল্লাতেই এক সময় থাকতেন মঈনের শ্বশুর এম হোসেন। পরে যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হয়েছেন তিনি। আর সেখানেই জন্ম ও বেড়ে উঠা ফিরোজার। তাদের সংসারে আবু বকর নামে তাদের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। হাদিয়া নামের একটি কন্যাও আছে তাদের।
মঈন বলেন, ‘আমার স্ত্রী এখানে এসেছে। তার বোন, জামাইসহ সবাই ঢাকায়, দুইদিনের মধ্যে সিলেটে আসবে।’
এর আগে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি। তারপর ২০১০-১১ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগও খেলেছেন। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে এসেছেন একাধিকবার।
Discussion about this post