বয়স ৪০ পেরিয়েছে। খেলার মধ্যেও নেই এখন। ৩০ জানুয়ারি সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রায় দুই মাস পর মাঠে নেমেই বল হাতে চমক দেখালেন এই পেসার। তুলে নিলেন ৫ উইকেট! চারে চার! লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের টানা চার জয়! চলতি প্রিমিয়ার লিগে মাঠে নেমেই ৫ উইকেট তুলে জয়ের নায়ক লিজেন্ড মাশরাফি! দল জিতল ৬ উইকেটে।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ৫ ব্যাটারকে ফিরিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অষ্টমবারের মতো ৫ উইকেট তুলে নিলেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে বৃহস্পতিবার চতুর্থ রাউন্ডে নেমে মূল আকর্ষণ ছিলেন মাশরাফি। ধীর গতিতে কয়েক কদম দৌড়ে মিডিয়াম পেস। আউটসুইং করালেন সঙ্গে নিখুঁত লাইন-লেংথ। এই কৌশলেই কুপোকাত গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের একের পর এক ব্যাটার দিশেহারা।
সবশেষ বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে প্রথম ৫ ম্যাচ খেলার পর টুর্নামেন্ট থেকে বিরতি নেন মাশরাফি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে প্রথম ৩ ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। বৃহস্পতিবার চতুর্থ রাউন্ডে নেমে টানা ৮ ওভারের স্পেলে ১৯ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন মাশরাফি।
এটি লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার অষ্টম ৫ উইকেট । বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মাশরাফির চেয়ে বেশি ৫ উইকেট আছে শুধুই স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের (৯টি)।
যদিও পঞ্চম বোলার হিসেবে একাদশ ওভারে বল হাতে নেন মাশরাফি। ৪০ রানের জুটি গড়েন প্রিতম কুমার ও আনিসুল ইসলাম গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। প্রীতম কুমারকে ১৪ রানে ফিরিয়ে উইকেটের খাতা খোলেন ম্যাশ। নিজেই ক্যাচ নেন প্রীতমের। এরপর একে একে ফেরান সাব্বির হোসেন শিকদার, ফয়সাল আহমেদ রায়হান, মঈন খান ও মাহফুজুর রহমান রাব্বিকে।
নিজের চতুর্থ ওভারে মাশরাফি নেন ২ উইকেট। টানা ৮ ওভার করার পর বোলিং থেকে সরানো হয় এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে। পরে ফেরেননি আক্রমণে।
মাশরাফির দাপটের দিনে ১৩৬ রানে অলআউট গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। আব্দুল হালিম শিকার করেন ২ উইকেট। গাজী গ্রুপের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান তুলেন আনিসুল। জবাবে নেমে ৬ উইকেট হাতে রেখে ২৮ ওভারে জয়ের বন্দরে পা রাখে লিজেন্ডসরা। ইনফর্ম তৌফিক খান তুষার করেন ৩৩ বলে ৩৬ রান। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪৪ বলে ৪৭ রানে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। সঙ্গে ১৬ বলে ২৬ রানে অপরাজিত শামীম হোসেন পাটোয়ারী!
তার পথ ধরেই লিজেন্ডস উড়ল আরও একবার। শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে দাপটেই এগিয়ে যাচ্ছে মুমিনুল হকের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৩৫.৪ ওভারে ১৩৬/১০ (আনিসুল ৪১, মারুফ ১৮, আল আমিন জুনিয়র ১৭; মাশরাফি ৫/১৯, হালিম ২/২৪, শুভাগত ১/১৪)
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ২৮ ওভারে ১৩৭/৪ (রিজওয়ান ৪৭*, তাওফিক ৩৬, শামীম ২৬*; জীবন ৩/১৭, রুয়েল ১/৩৭)
ফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মাশরাফি বিন মুর্তজা।
Discussion about this post