সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। বাকি ছিল হোয়াইটওয়াশের মিশন। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ছিল মান বাঁচানোর লড়াই। ঘরের মাঠে ধবল ধোলাইয়ের লজ্জা থেকে বাঁচতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ শুক্রবার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৮০ রানের বড় ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাল বাংলাদেশ।
তার পথ ধরেই ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করল লিটন দাসের বাংলাদেশ।
২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের পর ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রতিপক্ষকে তাদের মাঠে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ডের পর চতুর্থ দল হিসেবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা।
আজ শুক্রবার সেন্ট ভিনসেন্টে টি-টোয়েন্টিতে আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয় পেল বাংলাদেশ। গত বছর মার্চে চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৭ রানে জয় লাভ করে দল। টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশের বিপক্ষে সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় জয়।
এদিন ১৮৯ রানের পুঁজি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টাইগার বোলাররা আটকে দেয় ১০৯ রানে। তুলে নেয় ৮০ রানের জয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রানের দিক থেকে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে মিরপুরে ২০১৮ সালে ৩৬ রানে জেতে বাংলাদেশ, এত দিন সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় জয়।
এদিন পারভেজ হোসেনের ঝড়ো শুরুর পর জাকের আলির টর্নেডো ইনিংসে বড় রান। তাসকিন আহেমেদের শুরু আর শেষের উইকেটের মাঝে রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি হাসান, হাসান মাহমুদদের দারুণ বোলিং।
৪১ বলে অপরাজিত ৭২ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন জাকের আলী। এরপর ২১ রানে ৩ উইকেট রিশাদ হোসেন। ১৩ রানে ২ উইকেট মেহেদীর। ৩০ রানে ২ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৮৯/৭ (জাকের ৭২*, পারভেজ ৩৯, মিরাজ ২৯, তানজিম ১৭, লিটন ১৪; শেফার্ড ২/৩০, চেজ ১/১৫, মোতি ১/৩০)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬.৪ ওভারে ১০৯ (শেফার্ড ৩৩, চার্লস ২৩, পুরান ১৫, মোতি ১২; রিশাদ ৩/২১, মেহেদী ২/১৩, তাসকিন ২/৩০, তানজিম ১/৩১, হাসান ১/৯)
ফল: বাংলাদেশ ৮০ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: জাকের আলী (বাংলাদেশ)
সিরিজসেরা: মেহেদী হাসান (বাংলাদেশ)
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ।
Discussion about this post