একসময় নেপালের বিপক্ষে জয় ছিল নিয়মিত ব্যাপার। আশির দশকে চার-পাঁচ গোলের ব্যবধানেও হারিয়ে দেওয়ার রেকর্ড আছে। সময় বদলেছে, বদলে গেছে হিসাবও। এখন আর জয় নিশ্চিত নয়-এমনকি ড্র করলেও ফুটবলপ্রেমীরা খানিকটা স্বস্তি খোঁজেন।
আজ কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ এবং স্বাগতিক নেপাল খেলেছে গোলশূন্য ড্র। ম্যাচটা উত্তেজনার ঝলক দেখাতে পারেনি, তবে দুই দলের সামনের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির জন্য ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া ছিল না-তবে বল দখলে, পাসিংয়ে চেষ্টা ছিল। প্রথমার্ধের ৩৬ মিনিটে বাংলাদেশই তৈরি করেছিল ম্যাচের সেরা সুযোগ। রহমত মিয়ার থ্রো ইন থেকে গোলরক্ষক কিরণ বল মিস করলে সামনে পড়ে যায় বল। কিন্তু সেই সুযোগেও জালের দেখা পায়নি জামাল ভূঁইয়ার দল।
বাংলাদেশের দলে ছিল বেশ কিছু অনুপস্থিতি। নিয়মিত মুখ মিতুল মারমা ছিলেন চোটে, ফলে গোলপোস্ট সামলান অভিষিক্ত সুজন হোসেন। অনূর্ধ্ব–২৩ দলের সফরের কারণে ছিলেন না শেখ মোরছালিন ও ফাহামিদুল। আবার সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলা হামজা-শমিতও ছিলেন না। ফলে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার দলে ছিল অনেক নতুন চেহারা।
তবে নেপালের অবস্থাও খুব সুবিধার ছিল না। ঘরোয়া লিগ বন্ধ প্রায় দুই বছর। অস্ট্রেলিয়ান কোচ ম্যাট রস নতুন করে দলকে গুছিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন। প্রস্তুতির সময় পেয়েছেন মাত্র দেড় মাস। এর মাঝেই তারা কিছুটা গোছানো ফুটবল খেলেছে, কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণভাগ পেরোতে পারেনি।
মাঠের অবস্থাও ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দশরথ স্টেডিয়াম আগেই এএফসির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠ ভারী হয়ে পড়ায় খেলোয়াড়দের স্বাভাবিক খেলা ব্যাহত হয়েছে। বেশ কয়েকবার নেপালের ফুটবলাররা পিচ্ছিল মাঠে পড়ে আহত হন-যদিও বড় ধরনের চোট হয়নি।
এই ড্রয়ের ফলে নেপালের বিপক্ষে পাঁচ বছরের জয়খরা কাটাতে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বশেষ জয় ছিল ২০১৮ সালে। এরপর তিনটি ড্র, একটি হারের পর এদিন আরও এক ড্র যুক্ত হলো পরিসংখ্যানে।
এখন অপেক্ষা ৯ সেপ্টেম্বরের জন্য। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও দেখা হবে দুই দলের। তবে এবার প্রশ্ন একটাই-এই প্রস্তুতির ম্যাচগুলো কি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস এনে দিতে পারবে?
এদিকে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ইয়েমেনের বিপক্ষে ভিয়েতনামে নাটকীয় হারে হতাশা থাকলেও, জাতীয় দলের এই ড্র কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে।
Discussion about this post