ব্যাটিং উইকেটে টস জিতে প্রথম ব্যাটিং না নেয়াটাই ছিল বড় ভুল। তারপরও বেশ লড়েছেন বোলাররা। শুরুর সমস্যা কাটিয়ে শেষ অব্দি ঠিকই তারা চেপে ধরে শ্রীলঙ্কাকে। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা করে ২৮০ রান। কিন্তু জবাব দিতে নেমে ২১০ রানে অলআউট মাশরাফি বিন মতুর্জার দল। মানে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে হার ৭০ রানে। তাতেই ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ শেষ হল ১-১ সমতায়।
অথচ দেশের বাইরে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল টাইগাররা। শনিবার সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে উপুল থারাঙ্গা-দানুশকা গুনাথিলাকার ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে ছিল শ্রীলঙ্কা। মনে হচ্ছিল তিনশ ছাড়িয়ে যাবে তারা। কিন্তু বোলাররা সেটা হতে দেননি। তাইতো ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান করতে পারে লঙ্কানরা।
৬৫ রানে ৩ উইকেট নেন মাশরাফি। এই ম্যাচে নিজের প্রথম উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসানকে টপকে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসেন টাইগার অধিনায়ক। ওয়ানডেতে এখন সাকিবের শিকার ২২১; মাশরাফির উইকেট ২২৪টি।
মুস্তাফিজ ১০ ওভারে ৫৫ রানে নেন ২ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে মহা বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সাকিব, মেহেদীর হাফসেঞ্চুরিতে দুইশ পার হয় দল। কিন্তু জয় দুরেই থাকে।
এবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টাইগারদের টি-টুয়েন্টি লড়াই। ২ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি ৪ এপ্রিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৮০/৯ (গুনাথিলাকা ৩৪, থারাঙ্গা ৩৫, মেন্ডিস ৫৪, চান্দিমাল ২১, সিরিবর্ধনা ১২, গুনারত্নে ৩৪, থিসারা ৫২, প্রসন্ন ১, দিলরুয়ান ১৫, কুলাসেকারা ১*, লাকমল ২*; মাশরাফি ৩/৬৫, মুস্তাফিজ ২/৫৫, মিরাজ ১/৪৯, তাসকিন ১/৫০, মাহমুদউল্লাহ ০/৫, সাকিব ০/৪১, মোসাদ্দেক ০/১৩)
বাংলাদেশ: ৪৪.৩ ওভারে ২১০/১০ (তামিম ৪, সৌম্য ৩৮, সাব্বির ০, মুশফিক ০, সাকিব ৫৪, মোসাদ্দেক ৯, মাহমুদউল্লাহ ৭, মিরাজ ৫১, মাশরাফি ১৬, তাসকিন ১৪, মুস্তাফিজ ১*; কুলাসেকারা ৪/৩৭, লাকমল ২/৩৮, দিলরুয়ান ২/৪৭, থিসারা ০/১৪, গুনারত্নে ০/১৬, প্রসন্ন ২/৩৩, সিরিবর্ধনা ০/২৩)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৭০ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: থিসারা পেরেরা।
সিরিজ সেরা: কুশল মেন্ডিস
সিরিজ: ১-১ ড্র
Discussion about this post