স্বপ্ন যখন সত্যি হলো! ঠিক তাই, পাকিস্তানকে তাদেরই মাঠে হারানো স্বপ্নেরই মতো। এর আগে কখনোই তেমনটা হয়নি। কিন্তু এবার দেশে যখন বন্যার্তদের আর্তনাদ তখনই কীনা উৎসবের উপলক্ষ্য নিয়ে এসেছেন নাজমুল হাসান শান্তর দল। পাকিস্তানের মাটিতে জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ!
২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশ পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে দল। কিন্তু বারবারই হতাশ হয়ে ফিরেছে। এবার সেই ব্যর্থতার গল্প পেছনে পড়ে থাকল। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে তাদেরই বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথমবার টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছে।
শেষ দুটো দিন স্বপ্নের মতো কাটল বাংলাদেশের। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানকে অনায়াসে জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। নিজেদের সুদীর্ঘ টেস্ট ইতিহাসে দেশের মাঠে প্রথমবার ১০ উইকেটে হারল পাকিস্তান।
রোববার টেস্টের শেষ দিনে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংস ১৪৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের ১১৭ রানের লিড থাকায় জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩০ রান। রান তাড়ায় জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম কোন উইকেট না হারিয়ে তুলে নেন জয়!
জয়ের নায়ক মুশফিকুর রহিম। তার ব্যাটে ১৯১ রান। সঙ্গে সাদমান ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজরাও লড়লেন। আর বোলাররা শেষদিনে দেখালেন ম্যাজিক!
এই টেস্টে ম্যাজিক দেখালেন সাকিব আল হাসান। গড়লেন বিশ্বরেকর্ড! তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সাকিবের উইকেট ৭০৭টি। তিনি টপকে যান কিউই কিংবদন্তি ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে। ৩৬২ টেস্ট, ৩০৫ ওয়ানডে এবং ৩৮ টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ভেট্টোরি ৭০৫ উইকেট নিয়ে এতদিন সবচেয়ে সফল বাঁহাতি স্পিনার ছিলেন। রাওয়ালপিন্ডিতে আজ তাকে টপকে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন সাকিব!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৪৪৮/৬ (ডি.)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫৬৫/১০
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ৫৫.৫ ওভারে ১৪৬/১০ (শাফিক ৩৭, মাসুদ ১৪, বাবর ২২, শাকিল ০, রিজওয়ান ৫১, সালমান ০, আফ্রিদি ২, নাসিম ৩, শাহজাদ ৫*, আলি ০; শরিফুল ১১-২-২০-১, হাসান ১০-২-২০-১, সাকিব ১৭-৩-৪৪-৩, নাহিদ ৬-০-৩০-১, মিরাজ ১১.৫-২-২১-৪)।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩০) ৬.৩ ওভা ৩০/০ (জাকির ১৫*, সাদমান ৯*; আফ্রিদি ২-০-৮-০, নাসিম ৩-১-৭-০, সালমান ১.৩-০-৯-০)।
ফল: বাংলাদেশ ১০ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে বাংলাদেশ।
ম্যাচসেরা: মুশফিকুর রহিম।
Discussion about this post