সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ বলা হয় তাকে। তার নামটা উচ্চারিত হতেই শ্রদ্ধায় নত হয়ে উঠেন বিশ্বের তাবৎ ক্রীড়াপ্রেমীরা। বক্সিং মতো একটা নির্মম খেলাকেও যিনি শিল্পের রূপ দিয়েছিলেন। সেই কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলি আর নেই। ফিনিক্সের একটি হাসপাতালে শুক্রবার ৭৪ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি।
সেই ১৯৮১ সালে বক্সিং থেকে অবসর নেওয়ার তিন বছর পর থেকেই পারকিনসন্স রোগে ভুগছিলেন তিনি। তারপরও শিরোনামেই ছিলেন তিনবারের বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন। সর্বজন শ্রদ্ধেয় তিনি। গত কয়েক বছর ধরেই ভুগছিলেন নানা রোগে। তারপরও হাসপাতাল থেকে বারবারই ফিরে আসছিলেন। কিন্তু এবার ফেরা হল না।
গত শতাব্দীর সেরা এই ক্রীড়াবিদ ১৯৪২ সালের ১৭ জানুয়ারি কেনটাকির লুইসভিলে জন্ম নেন। তার নাম ছিল তখন ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে। পরে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন আলি। পরে এই নামে বিখ্যাত হয়ে উঠেন। ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকে লাইট-হেভিওয়েটে সোনা জেতার পর তার নাম ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে।
৬১টি পেশাদার লড়াইয়ের মধ্যে ৫৬টিতে জিতেছেন আলি। যার মধ্যে ৩৭টি লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে নকআউট করেছেন তিনি। মানে জয়টাকে অভ্যাসে পরিনত করেন তিনি। তাইতো ‘শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াবিদ’ খেতাব পান। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭, ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ ও ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন ছিলেন এই মার্কনি।
যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকান আমেরিকানদের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন করতে গিয়ে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর নাম বদলে রাখেন মুহাম্মদ আলি।
বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে বারবার সোচ্চার হয়েছেন আলি। তাঁর মেয়ে লায়লা আলিও একজন পেশাদার বক্সার। যদিও বাবার খ্যাতিকে ছাড়িয়ে যাওয়া হয়নি। অবশ্য কিংবদন্তি আলিকে ছাড়িয়ে যাওয়া বুঝি আর কাউকে দিয়েই হবে না! তার মৃত্যুতে শোকাহত সবাই। মুষ্টিযোদ্ধা জর্জ ফোরম্যান টুইটারে লিখেছেন, ‘মোহাম্মদ আলী চলে যাওয়ায় মনে হচ্ছে শরীরের একটা অঙ্গ হারিয়ে ফেলেছি।’
Discussion about this post