প্রথম টেস্টের চেয়েও ভয়ংকর বিপর্যয় হলো। এবার আরো বড় ব্যবধানে হার। চার দিনেই সেন্ট লুসিয়া টেস্ট জিতে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৯৬ রানে হেরেছে সফরকারী বাংলাদেশ।
আর তাতেই দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো মুশফিকুর রহীমের দল।
##################
দ্বিতীয় টেস্টেও বড় হারের পথে বাংলাদেশ
সেন্ট লুসিয়া টেস্ট হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল আগেই। মঙ্গলবার অন্যরকম কিছু করার ইঙ্গিত দেখাতে পারল না বাংলাদেশ। আর তাতেই আরো বিপর্যয়ে মুশফিকুর রহীমের দল।
শিবনারায়ন চন্দরপলের সেঞ্চুরির অপেক্ষাতেই ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক দিনেশ রামদিন। অভিজ্ঞ সেই ব্যাটসম্যান শতরান পেতেই দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে তারা। ৪ উইকেটে ২৬৯ রানে থামে ক্যারিবিয়রা। তাতেই দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাড়ায় ৪৮৯ রান।
সেই লক্ষ্য তাড়া শুরুতেই বিপাকে পড়ে টাইগাররা। ২৭ বলে ৩৯ রান করে ফিরে যান শামসুর রহমান। আর মঙ্গলবার ৪র্থ দিনে লাঞ্চ বিরতির সময় বাংলাদেশ ২য় ইনিংসে করেছে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান।
সেন্ট লুসিয়ার বসেজু স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ৪ উইকেটে ২০৮ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ২৬৯ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে তারা। সিরিজে আরো একবার সফল চন্দরপল। করলেন অপরাজিত ১০১ রান। আগের দুটি ইনিংস ৮৫ ও ৮৪।
প্রথম ইনিংসে ৩৮০ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাব দিতে নেমে মুশফিকের দল অলআউট ১৬১ রানে।
সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের পর এবার টেস্টেও হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় দল।
############################
ফের বড় হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ ( তৃতীয় দিন)
যা আশঙ্কা করা হয়েছিল তাই হল! আরো একবার ফলোঅনে পড়ল বাংলাদেশ। দিন শুরু করেছিল ৭ উইকেটে ১০৪ রান নিয়ে। কিন্তু বেশি দুর যাওয়া হল না। ১৬১ রানে প্রথম ইনিংস শেষ ১৬১ রানে। এর অর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ২১৯ রান পিছিয়ে থাকল মুশফিকুর রহীমের দল।
এরপর অবশ্য বাংলাদেশকে ফের ব্যাটিংয়ে পাঠাল না স্বাগতিকরা। নিজেরাই ২য় ইনিংসে নেমেছে। আর তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করছে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান। প্রথম ইনিংসে ২১৯ রানে লিড ছিল। সব মিলিয়ে এখন তারা ৪২৭ রানে এগিয়ে।
এর আগে সোমবার সকালে সেন্ট লুসিয়ার বসেজু স্টেডিয়ামে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার ব্যাট ফলোঅন এড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কিন্তু ৫৩ রান করে ফিরে যান তিনি। আর বাংলাদেশের স্বপ্নও ভেঙ্গে যায়। প্রথম টেস্টের মতোই আরো একবার ফলোঅনে পড়ল দল।
আসলে পুরো সফরেই ব্যর্থতার বৃত্তে বন্ধী হয়ে আছেন ব্যাটসম্যানরা। উইকেটে আসা আর যাওয়াটাই যেন তাদের একমাত্র কাজ। যেখানে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে ধৈর্যশীল ক্রিকেট খেলছেন, সেখানে আনাড়িপনার প্রদর্শনী করছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
তাইতো রোববার তামিম ইকবাল ছাড়া দলের প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারলেন না। তামিম করেন ৪৮ রান। অন্যরা উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন!
ব্যর্থ তাই বলে এভাবে? এমন ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ের কোন ব্যাখ্যা থাকে না।
সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের পর এবার টেস্টেও হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় দল
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১ম ইনিংসে ৩৮০/১০ (ব্রেথওয়েইট ৬৩, জনসন ৬৬, চন্দরপল ৮৪*, টেইলর ৪০, বেন ২৫; আল-আমিন ৩/৮০, রবিউল ২/৬৩, শফিউল ২/৮০, তাইজুল ২/৮৯, মাহমুদুল্লাহ ১/৪৯) এবং ২য় ইনিংসে ২০৮/৪ (ব্রেথওয়েইট ৪৫, জনসন ৪১, চন্দরপল ৬৩*, ব্ল্যাকউড ৪৩*; মাহমুদুল্লাহ ২/৩৭, শফিউল ১/২১, তাইজুল ১/৭৬)
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংসে ১৬১/১০ (তামিম ৪৮, শামসুর ১, এনামুল ৯, মুমিনুল ৩, মুশফিক ৪, মাহমুদুল্লাহ ৫৩, নাসির ১, তাইজুল ১২; রোচ ৫/৪২)।
ব্যাটসম্যানরা ফের ব্যর্থ, ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশ (২য় দিন শেষে)
দ্বিতীয় টেস্টেও সেই একই গল্প। ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। আর তাতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও ফলোঅনের শঙ্কায় সফরকারীরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৮০ রানে ১ম ইনিংসে অলআউট করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিল দল। কিন্তু রোববার দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের রান ১ম ইনিংসে ৭ উইকেটে ১০৪। ফলোঅন এড়াতে এখনো মুশফিকদের চাই ৭৭ রান। হাতে মাত্র ৩ উইকেট।
এর আগে সিরিজের প্রথম টেস্টেও ফলোঅনে পড়েছিল বাংলাদেশ। এরপর সেই টেস্ট ১০ উইকেটে হারে মুশফিকের দল।
আসলে পুরো সফরেই ব্যর্থতার বৃত্তে বন্ধী হয়ে আছেন ব্যাটসম্যানরা। উইকেটে আসা আর যাওয়াটাই যেন তাদের একমাত্র কাজ। যেখানে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে ধৈর্যশীল ক্রিকেট খেলছেন, সেখানে আনাড়িপনার প্রদর্শনী করছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
তাইতো রোববার সেন্ট লুসিয়ার বসেজু স্টেডিয়ামে তামিম ইকবাল ছাড়া দলের প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারলেন না। তামিম করেন ৪৮।
ব্যর্থ তাই বলে এভাবে? এমন ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ের কোন ব্যাখ্যা আসলে নেই।
অথচ এক পর্যায়ে বাংলাদেশের রান ছিল ২ উইকেটে ৬২। এরপরই সব শেষ। মাত্র ৭ রান যোগ করতে ৪ উইকেট হারায় দল। কেমার রোচ একাই নেন ৩৩ রানে ৫ উইকেট।
আগের দিন রীতিমতো চাপে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু রোববার সকালেই ঘুরে দাড়াল মুশফিকুর রহীমের দল। ৩৮০ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
অথচ সকালে ৩ উইকেটে ২৪৬ রান নিয়ে খেলা শুরু করে স্বাগতিকরা। আল আমিন হোসেন পরপর দুই বলে জেরেমাইন ব্ল্যাকউড ও দিনেশ রামদিনকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। সেটা না হলেও ক্যারিবিয়দের মনোবলটা ঠিকই ভেঙ্গে দেন চাকিংয়ের অভিযোগ উঠা এই বোলার।
তবে অভিজ্ঞ শিবনারায়ন চন্দরপল একাই লড়ে গেলেন। ১৯৮ বল খেলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
৮০ রানে ৩ উইকেট নেন আল আমিন। দুটি করে উইকেট রবিউল, শফিউল ও তাইজুলের।
সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের পর এবার টেস্টেও হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় দল
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১ম ইনিংসে ৩৮০/১০ (ব্রেথওয়েইট ৬৩, জনসন ৬৬, চন্দরপল ৮৪*, টেইলর ৪০, বেন ২৫; আল-আমিন ৩/৮০, রবিউল ২/৬৩, শফিউল ২/৮০, তাইজুল ২/৮৯, মাহমুদুল্লাহ ১/৪৯)
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংসে ১০৪/৭ (তামিম ৪৮, শামসুর ১, এনামুল ৯, মুমিনুল ৩, মুশফিক ৪, মাহমুদুল্লাহ ১৩*, নাসির ১, তাইজুল ১২, শফিউল ৬*; রোচ ৫/৩৩)।
#######################
প্রথম দিন শেষে উইন্ডিজ ২৪৬/৩
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে সতর্ক হয়ে খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে পড়ে ধীর গতিতে এগোচ্ছে স্বাগতিকরা। অবশ্য কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই সতর্ক তারা। তাইতো সেন্ট লুসিয়া টেস্টের ১ম দিনে ক্যারিবিয়রা ১ম ইনিংসে ৯০ ওভারে তুলেছে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান। রান গড় ২.৭৩।
ব্যাট হাতে অপরাজিত শিবনারায়ন চন্দরপল (৩৪) এবং ড্যারেন ব্র্যাভো (৪৪)।
সাজঘরে ফিরেছেন লিয়ন জনসন (৬৩) এবং ক্রেইগ বেথহোয়াইট (৬৬)। শফিউলের বলে আউট হয়েছেন বেথহোয়াইট। তাইজুল নেন জনসনের উইকেট। পরে মাহমুদুল্লাহ ফেরান কার্ক এডওয়ার্ডসকে (১৬)।
শনিবার সকালে সেন্ট লুসিয়ার বসেজু স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম।
নিজেদের ইতিহাসে ৫০০তম টেস্ট খেলতে নেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই টেস্টে বাংলাদেশ দলে ফিরেছেন এনামুল হক, শফিউল ইসলাম এবং রবিউল ইসলাম। বাদ পড়েছেন শুভাগত হোম চৌধুরী এবং রুবেল হোসেন। অসুস্থতার কারণে দলে নেই ইমরুল কায়েস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ক্রিস গেইলের জায়গায় অভিষেক হল লিয়ন জনসনের। তাঁর হাতে টেস্ট ক্যাপ তুলে দেন ক্যারিবিয় কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েড।
বলা দরকার সিরিজের প্রথম টেস্টে ক্যারিবিয়দের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের পর টেস্টেও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে হলে এখানে জয় অথবা ড্র চাই মুশফিকুর রহীমদের।
Discussion about this post