প্রথম ওয়ানডের পর দ্বিতীয়টিতে আরো ভরাডুবি। দল অলআউট মাত্র ৭০ রানে। সঙ্গে বিশাল হারের লজ্জা। এ অবস্থায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তারওপর রোববার শুনতে হয়েছে দুঃসংবাদ। অফস্পিনার সোহাগ গাজীর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তার বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক বলে জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এ সংস্থা।
এইতো শুক্রবার গ্রেনাডায় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের পর বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে আইসিসির এই তথ্য পাঠায়। যদিও এই সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য এখনই ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হচ্ছেন না সোহাগ গাজী।
আপাতত তার বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধিকরনের জন্য বিভিন্নমুখি প্রচেষ্টার মধ্যে যেতে হবে তাকে। দিতে হবে বায়োকেমিক্যাল টেস্ট। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।
এর মধ্যে অবশ্য কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলায় সমস্যা হবে না তার। তাইতো সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও খেলতে পারেন তিনি। এনিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে দলের সঙ্গে ম্যানেজার হিসেবে যাওয়া হাবিবুল বাশার বলছিলেন, ‘ওর সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন সম্পর্কে আইসিসির রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। বিষয়টা নিয়ে তার সঙ্গে আলাপও হয়েছে। সোহাগ গাজী স্বাভাবিকভাবেই পুরো ব্যাপারটা গ্রহন করেছে।’
এর আগে বাংলাদেশের আব্দুর রাজ্জাক ও নাইমুর রহমান দুর্জয়েরও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
সেই সন্দেহ থেকে মুক্তিও মিলেছিল তাদের।
১০ টেস্টে ৩৮ উইকেট এবং ১৯ ওয়ানডেতে ২২ উইকেট নেওয়া সোহাগ গাজীর বিরুদ্ধে এই প্রথমবারের মতো উঠল এমন অভিযোগ। এবার তারও সন্দেহ মুক্ত হওয়ার পালা।
Discussion about this post