বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্তারা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন-সাকিব আল হাসান আপিল করলে শাস্তির মেয়াদ কমতে পারে। তাইতো রোববার দুপুরে শাস্তি কমানোর আপিল করলেন দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার।
দুপুর ১২টার দিকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি অফিসে এসে পৌঁছান সাকিব।
বলা দরকার শৃংখলা ভঙ্গের কারন দেখিয়ে ৬ মাস সব ধরনের ক্রিকেটে এবং দেড় বছর বিদেশী ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে নিষিদ্ধ করেছে বিসিবি।
রোববার আপিল শেষে সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নেরই উত্তর দেন নি বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। শুধু লিখিত বক্তব্য পড়েন তিনি। যাতে সাকিব বলেন-
”আসসালামু ওলাইকুম, আমি দেশবাসী এবং বিসিবি’র কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার কারণে বিসিবি এবং বাংলাদেশ দল যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তবে তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। একই সঙ্গে আমার ভক্ত, সমর্থক এবং দর্শকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। ক্রিকেট থেকে দূরে থাকাটা আসলেই কষ্টকর। এর চেয়ে দুঃখের আর কিছুই হয় না। আমি অনূর্দ্ধ-১৫ থেকে বিসিবি’ লগো গায়ে জড়িয়ে খেলে আসছি। এটা আমার কাছে গর্বের বিষয়। আমি আবারো জাতীয় দলের হয়ে সব কিছু উজাড় করে দিতে চাই। কারণ আমি বিসিবি ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের কাছে বড় হয়েছি।”
বক্তব্যের শেষ অংশে সাকিব বলেন,-”আমি বিসিবি’র কাছে আবেদন করেছি যাতে আমার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পূর্নবিবেচনা করা হয়।”
এর আগে বোর্ড কর্তারাই আপিলের পরামর্শ দেন সাকিবকে। বিসিবির গণমাধ্যম ও যোগাযোগ কমিটির সভাপতি জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন, বুধবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সঙ্গে দেখা করে শাস্তি কমানোর অনুরোধ জানান সাকিব। তখন বোর্ড প্রেসিডেন্টই আপিল করতে বলেন। সাকিব সেই কথাটাই অনুসরন করলেন। একইসঙ্গে বোর্ড পরিচালক আকরাম খানও জানিয়েছিলেন-সাকিব আবেদন করলে বোর্ড সেটা গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করবে। কেননা, তার মতো ক্রিকেটার জাতীয় দলের সম্পদ।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যে সাকিবের খেলা হচ্ছে না সেটা নিশ্চিত। নিষিদ্ধ থাকার সময়টাতে সাকিবের অনুশীলনে কোনো বাধা নেই বলে জানালেন জালাল ইউনুস। জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে এনিয়ে পরিকল্পনা করছেন বলেও শোনা গেল।
উল্লেখ্য গত ৭ জুলাই সাকিবকে শৃংখলা ভঙ্গের কারন দেখিয়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে বিসিবি। একইসঙ্গে আগামী দেড় বছর দেশের বাইরে কোনো প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য তাকে অনাপত্তিপত্র না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
এরপর এনিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। দেশের বিশিষ্ট জনরা আপত্তি তুলে জানান-‘এটা লঘু পাপে গুরু দন্ড!’
ফেসবুকে বোর্ড কর্তাদের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। অনেকে বোর্ড পরিচালকদেরই পদত্যাগ দাবী করেন। এমন চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত নড়েচড়ে বসলেন বিসিবির কর্তারা!
Discussion about this post