মনে হচ্ছিল ম্যাচটা বুঝি জিততেই যাচ্ছে মেক্সিকো। ৮৭ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন জয়ের নায়ক জিওভানি দস সান্তোস। তার গোলেই দল এগিয়ে। জয়টা তো হাতের মুঠোতেই। কিন্তু কে জানতো তখনো অনেক নাটক বাকী ফোর্তেলেজায়? কিন্তু ৮৮ মিনিটে হিসেবের ছক উল্টে দিলেন ওয়েসলি স্নেইডার। তার অসাধারন এক গোলে শেষ মুহুর্তে ম্যাচে ফিরে নেদারল্যান্ডস। গ্যালারিতে শুরু হয়ে যায় কমলা রঙের উৎস।
তখন মনে হচ্ছিল নিশ্চিত খেলা গড়াচ্ছে অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু এই হিসেবটাও মিলল না। ইনজুরি সময়ে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করে ডাচদের অবিস্মরনীয় এক জয় এনে দেন ইয়ান ক্লাস হুন্টেলার। তাতেই দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শেষ আটে ওঠার স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় মেক্সিকোর। ২-১ গোলের জয় দিয়ে ডাচরা উঠে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা।
ফিফার ইতিহাসে এই ম্যাচেই প্রথম দেখা গেল ‘কুলিং ব্রেক’। তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রী। হাপিয়ে উঠেছিলেন ফুটবলররা। তাইতো
প্রথমবারের মতো পানি পানের বিরতি হল । ম্যাচের ৩২ ও ৭৫ মিনিটে এই বিরতি দেন রেফারি।
তাতে সুবিধাটা ডাচরাই পেয়েছে। কেননা, এমন গরমে খেলে অভ্যস্থ নন। সুবিধা আরো পেয়েছে ইউরোপের এই দেশটি। ইনজুরি সময়ে তাদের পাওয়া পেনাল্টি নিয়েও আছে প্রশ্ন।
মেক্সিকোর রাফায়েল মার্কেস ডি বক্সে ফেলে দেন হল্যান্ডের আরিয়ান রবেনকে। ইচ্ছে করলে রেফারী এটা এড়িয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু পেনাল্টি দিয়ে দেন তিনি। রোবিন ফন পার্সির বদলি নামা ক্লাস ইয়ান হুন্টেলার পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করলেন না। হারলেও এ ম্যাচে দারুণ লড়লেন মেক্সিকোর গোলকিপার গুইলেরমো ওচোয়া।
কিন্তু এমন জয়ে কলংক থাকল। ম্যাচ শেষে মেক্সিকোর কোচ মিগুয়েল হেরেরা দোষ দিলেন পর্তুগিজ রেফারি পেদ্রো প্রোয়েনকাকে। একইসঙ্গে রোবেনও স্বীকার করলেন প্রথমার্ধে দুবার ‘ডাইভিং’ করে রেফারীকে প্রভাবিত করার চেস্টা করেছেন তিনি!
ম্যাচে তিনবার ডাইভিং (ইচ্ছেকৃত ভাবে পড়ে যাওয়া) করেছেন রোবেন। অভিনয়টা বেশ করলেন তিনি।
Discussion about this post