কোনো দিক থেকেই সুখবর পাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট। একে তো বিপিএল নিয়ে আকসুর রিপোর্টে কী থাকছে, সেই চিন্তায় প্রতিনিয়ত উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা। তার ওপর আবার নতুন সঙ্কট দেখা দিয়েছে সামনের বছর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে। সম্প্রতি আইসিসির পর্যবেক্ষক দল এ বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কেমন-তা পরিদর্শন করে গেছে। কিন্তু সেই পর্যবেক্ষক দল যে রিপোর্ট আইসিসির কাছে জমা দিয়েছে, সেটা পড়ে নতুন চিন্তায় পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আইসিসির পরিদর্শক দলের সেই রিপোর্টের প্রায় পুরোটাই নেতিবাচক। সামনের বছরের এ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের প্রস্তুতি এবং নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ সম্পর্কে তারা যে রিপোর্ট দিয়েছে তা পুুরোপুরি বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। আর তাই আইসিসি সামনের বছরের এ বিশ্বকাপের জন্য আয়োজক হিসেবে বিকল্প ভেন্যু (অন্য দেশ) খুঁজতে শুরু করে দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে লন্ডনে আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) অন্যতম এজেন্ডাও হতে যাচ্ছে এ বিষয়টি! কাল মিরপুরে করপোরেট ক্রিকেটের পুরস্কার দিতে এসে সাংবাদিকদের সেই আশঙ্কার কথাই জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন-‘এবারের আইসিসির এজিএমটা দুটো কারণে আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বিকল্প ভেন্যু খোঁজার প্রস্তুাব গেছে আইসিসির টেবিলে। বাংলাদেশে এ বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। এ বিশ্বকাপের জন্য আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের প্রস্তুতি দেখতে আসা আইসিসির যে পরিদর্শক দল ঘুরে গেছে তারা কিন্তু সন্তুষ্ট নয়। সেজন্যই বিকল্প ভেন্যু খুঁজে বের করার একটা প্রস্তাবও রেখেছে তারা। আইসিসির এজিএমে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। তবে আমি এখনই আশা হারাচ্ছি না। আমরা তাদেরকে বোঝাব যে এ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে বিকল্প ভেন্যুর দরকার নেই। আমাদের কাছে যা আছে আমরা পারব। সিলেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করাটাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। কক্সবাজারেরটা আমরা পারব জানি।’
তবে সিলেট ভেন্যু নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানালেও বিসিবি সভাপতি বেশ ইতিবাচকই থাকছেন-‘একটা সুখবর পেয়েছি। সিলেটে স্টেডিয়াম নির্মাণের টেন্ডার হয়ে গেছে এবং পুরোদমে কাজ চলছে। অর্থমন্ত্রী এবং ক্রীড়ামন্ত্রীকে নিয়ে একসঙ্গে বসেছিলাম আমরা। সেই বৈঠকে আমরা প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। যা বাজেট লাগবে সেটা তারা আমাদের দেবেন। আইসিসির পরিদর্শক দল আগামী আগস্ট মাসে আরেকবার ভেন্যু পরিদর্শনে আসবে। আশা করছি সেই সময় আমাদের কাজের অগ্রগতি দেখে তারা সন্তুষ্ট হবে।’
বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারি নিয়ে আকসুর রিপোর্ট প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি জানান-‘তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রথমে দেখতে হবে আমরা এ রিপোর্টে হ্যাপি কি না? তারা যে তদন্তটা করেছে তার ওপর নির্ভর করে আমরা সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি কি না? একটা বিষয় আমি আবার স্পষ্ট করতে চাই-আমরা কিন্তু কাউকে ছাড় দেব না এবং কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পিছু হটব না। হয়তো এসব সিদ্ধান্ত অনেকেরই ভালো লাগবে না। আমাদের কোনো ভালো খেলোয়াড় যদি নিষিদ্ধ হয়, সবারই খারাপ লাগবে।’
Discussion about this post