এতদিন শুধু কানাঘুষাই ছিল। ক্রিকেটের অন্ধকার জগতের রিমোট কন্ট্রোল নাকি আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনদের হাতেই থাকে। আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ে শ্রীশান্তের তদন্ত করতে গিয়েও দিলি্ল পুলিশ দুবাইয়ের ডন দাউদ ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিলের নাম খুঁজে পেয়েছে। রেকর্ড করা হয়েছে তাদের কথোপকথন। সে নেটওয়ার্ক যে বাংলাদেশেও ছড়িয়ে গেছে, সেটা অন্তত এতদিন কেউ মুখ খুলে বলার সাহস পাননি।
বৃহস্পতিবার যা বলেই ফেললেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ জেমি সিডন্স। নিউজিল্যান্ডের এক দৈনিকে বোমা ফাটালেন সিডন্স এ-ই বলে যে, আন্ডারওয়ার্ল্ডের জুয়াড়ি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুলও এবং সেটা এখনকার ত্রিশ ছুঁইছুঁই আশরাফুল নয়, তারও আগে বছর পনেরোর এক কিশোর আশরাফুল প্রথম ওই ফাঁদে পা দেন। তখন থেকেই নাকি আশরাফুল আন্ডারওয়ার্ল্ডের জুয়াড়ি নেটওয়ার্কের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। সে কারণেই আশরাফুলের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের স্বীকারোক্তিতে অবাক হননি বাংলাদেশের সাবেক ওই কোচ। তার বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণাতেও আশ্চর্য হননি, ক্ষমাও করেননি তাকে।
‘সন্দেহটা আমার অনেক আগেই হয়েছিল এবং সেটা আমি বিসিবি ও আইসিসিকে জানিয়েছিলাম। আর তাই এখন এ খবরে আমি মোটেও অবাক হইনি। এটা হতাশাজনক ঠিকই, কেননা আমি দীর্ঘ চার বছর দলটির কোচ ছিলাম। আমি আশরাফুলের শাস্তি শুনে সারপ্রাইজড হইনি। আসলে খুব শক্তিশালী এক আন্ডারওয়ার্ল্ড জুয়াড়ি চক্র এটার সঙ্গে জড়িত।’ ওয়েলিংটনের ডমিনিয়ন পোস্ট বৃহস্পতিবার সিডন্সের এ মন্তব্য প্রকাশ করে। কেননা এখন তিনি ওই শহরেরই একটি ক্লাবের কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
-স্পোর্টস ডেস্ক
Discussion about this post