চট্রগ্রামের পর ঢাকা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম শেষে এবার শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম। টি-টুয়েন্টির পর ওয়ানডে। সবকিছু বদলে গেলেও সবকিছু বদলায়নি!
সেই একই সমস্যার বৃত্তে বন্ধী বাংলাদেশ। চট্রগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি লড়াইয়ে একটুর জন্য দুটো ম্যাচই হাতছাড়া হয়েছিল। প্রথমটিতে শেষবলের আক্ষেপ! ২ রানে ম্যাচ জিতে লঙ্কানরা। দ্বিতীয়টিতেও সেই শেষ বলেরই নাটক। এবার শ্রীলঙ্কা জিতে ৩ উইকেটে।
ফিনিশিংয়ের এই সমস্যাটা থাকল সোমবার মিরপুরের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেও। অবশ্য এবার বাংলাদেশের ফিল্ডাররাও যেন হাতে ঘি মেখে নেমেছিলেন!
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মহা বিপর্যয়ে পড়েছিল সফরকারী শ্রীলঙ্কা। বোলাররা এমন ভাবে কোনাঠাসা করে দেন যে মনে হচ্ছিল একশ’র আগেই অলআউট হয়ে যাবে তারা। ৬৭ রানে ৮ উইকেট!
সেই দলটিই বাংলাদেশের ফিল্ডারদের বদন্যতায় অলআউট হল ১৮০ রানে! কথায় আছে ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস! তাই যেন হল।
কিন্তু ব্যাটসম্যানরা একটু দ্বায়িত্ব নিয়ে খেললে সেই দুর্বলতাটুকু কাটিয়ে উঠা যেতো। অবশ্য এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল সহজ জয় বুঝি পেতে যাচ্ছে টাইগাররা। শামসুর রহমান আর মমিনুল হক দারুণ লড়ছিলেন। ১৯.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে দল ১১৪।
কিন্তু এরপরই ব্যাটসম্যানরা হয়ে উঠলেন কান্ড জ্ঞানহীন। সাজঘরে ফেরার জন্য সেকি তাড়াহুড়ো! তাতেই একের পর এক উইকেট পতন। হাতের মুঠোয় চলে আসা ম্যাচটি গলে পড়ল হাত থেকে!
১৩ রানে হার! আসলে লঙ্কানদের হাতে জয় তুলে দিলেন মুশফিকরা। তাইতো সোমবার ম্যাচশেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক আক্ষেপ নিয়ে বললেন, ’আমরা মনে হয় ইচ্ছে করেই হারলাম। এমন ক্রিকেট আমরা যে শেষ কবে খেলেছি-মনে নেই। খুবই হতাশাজনক। যে ক্যাচগুলো আমরা ছেড়েছি, সেগুলো নিতে পারলে ওরা হয়তো এক শ রানের মধ্যে অলআউট হয়ে যেত।’
এটা তো গেল আত্মসমালোচনা। কিন্তু এভাবে ভুলের বৃত্তে আর কতো দিন?
সামনেই এশিয়া কাপ। এরপর টি-টুয়েন্টির লড়াই। দুটোই নিজ দেশে। তার আগে ঘুরে দাড়ানোর এইতো সময়। ২০ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। এরপরের ম্যাচ ২২ ফেব্রয়ারি।
সিরিজ জেতার সুযোগ কিন্তু শেষ হয়ে যায় নি!
http://youtu.be/Y4HUQWISvaE
http://youtu.be/tn40dWo8dfc
Discussion about this post