জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চলমান আসরে আজ চতুর্থ ও শেষ দিনের তিনটি ম্যাচই ড্রয়ে শেষ হয়েছে। তবে শেষ দিনে আলো কেড়েছেন ব্যাটসম্যানরা-সেঞ্চুরি করেছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও সালমান হোসেন ইমন, আর মাত্র ছয় রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন তরুণ জিসান আলম।
ঢাকা ও সিলেটের মধ্যকার ম্যাচে শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন মুশফিকুর রহিম। আগের দিনের ৯৩ রানের ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করে ১১৫ রানে আউট হন তিনি। তাইবুর রহমানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২০৫ বল খেলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার, ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ২টি ছক্কা। সিলেটের ইনিংস শেষ হয় ২৯০ রানে, ফলে ঢাকা পায় ২০ রানের লিড। ঢাকার হয়ে চারটি উইকেট নেন মোহাম্মদ রিপন মণ্ডল, দুইটি করে উইকেট ভাগ করে নেন নাজমুল ইসলাম অপু ও এনামুল হক।
দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত শুরু করে ঢাকা। জিসান আলম ও আনিসুল ইসলামের ৯৮ রানের উদ্বোধনী জুটিতে গতি আসে ইনিংসে। আনিসুল ৩৬ রানে আউট হলে জিসান আশিকুর রহমান শিবলিকে নিয়ে গড়েন আরেকটি ৭৭ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরির মাত্র ছয় রান দূরে থেমে যান জিসান, নাবিল সামাদের বলে আউট হওয়ার আগে ১২৫ বল খেলে ৯৪ রান করেন, যেখানে ছিল ৯টি চার ও ৪টি ছক্কা।
শিবলি অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে। ইনিংস ঘোষণার সময় ঢাকার স্কোর ২ উইকেটে ২২২। সিলেট চার ওভারে ১৩ রান করার পর ম্যাচ ড্র হয়। ম্যাচসেরা হয়েছেন প্রথম ইনিংসে ১২২ রান করা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
অন্যদিকে ময়মনসিংহ ও রংপুরের ম্যাচেও ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তা দেখা যায়। প্রথম ইনিংসে ময়মনসিংহের বিশাল ৫৫৫ রানের জবাবে মাত্র ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। নাঈম ইসলাম ২৩ রানে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। নাসির হোসেন ১৯ রান ও অধিনায়ক আকবর আলী ৭ রান করেন। ম
য়মনসিংহের পক্ষে তিনটি উইকেট নেন আরিফ আহমেদ, দুইটি করে উইকেট ভাগ করে নেন আবু হায়দার রনি ও শহিদুল ইসলাম। ফলো-অন করে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো শুরু করে রংপুর—উদ্বোধনী জুটিতে যোগ হয় ৫০ রান। শেষে ২ উইকেটে ১১২ রানে দিন শেষ হয় এবং ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করা হয়। রংপুরের আব্দুল্লাহ আল মামুন অপরাজিত থাকেন ৮৫ বলে ৬৯ রানে। ম্যাচসেরা হয়েছেন ময়মনসিংহের আব্দুল মজিদ।
চট্টগ্রাম ও বরিশালের ম্যাচেও শেষ দিনে জ্বলে ওঠেন বরিশালের ব্যাটার সালমান হোসেন ইমন। ১৬৬ রানে দিন শুরু করা বরিশাল শেষ পর্যন্ত ইনিংস ঘোষণা করে ২৫৯ রানে। সালমান খেলেন ২৪২ বলের ধৈর্যশীল ও অপরাজিত ইনিংস, যেখানে ছিল ১২টি বাউন্ডারি। চট্টগ্রামের হয়ে দুটি উইকেট নেন হাসান মুরাদ।
চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩৫ রান করেই ইনিংস ঘোষণা করলে বরিশালের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৪ রান। বরিশাল ৯ ওভারে ১৯ রান করার পরই ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করা হয়। ম্যাচসেরা হয়েছেন সালমান হোসেন ইমন।








Discussion about this post