আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে লজ্জাজনক হোয়াইটওয়াশের পর বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার- কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি। পুরো সিরিজ জুড়ে ব্যাটারদের ব্যর্থতা দলকে একতরফা পরাজয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এমন পারফরম্যান্সে হতাশ হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তার মতে, এই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং দুর্বলতা পুরোপুরি ‘উন্মোচিত’ হয়ে গেছে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হোয়াইটওয়াশের পর লিপু বলেন, ‘এমন একটা পারফরম্যান্স আমরা যারা ক্রিকেট দেখি, ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত, এমনকি যারা খেলেছে-আমার মনে হয় কেউই আশা করেনি এমন রেজাল্ট হতে পারে। এটা একদম উন্মোচিত হয়েছে আমাদের দুর্বলতা। বিশেষ করে আমাদের ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। অবশ্যই, যত দ্রুত সম্ভব আমাদের ওভারকাম করতে হবে।’
লিপুর মতে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে এমন ব্যর্থতা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্যগুলোকে ম্লান করে দিয়েছে, ‘আমরা সাদা বলের ক্রিকেটে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে উল্লেখযোগ্য কিছু সফলতা পেয়েছি। কিন্তু আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পারফরম্যান্স আমাদের নিকট অতীতের সাফল্যগুলোকে পুরোপুরি ম্লান করে দিয়েছে।’
ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে কেমন ভয়াবহ অবস্থা ছিল দলের। প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১০৯ রানে অলআউট হয় মেহেদী মিরাজদের দল। শেষ ম্যাচে তো একশ রানের গণ্ডিও পার করতে পারেনি সফরকারীরা।
পুরো সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান এসেছে সাইফ হাসানের (৯১ রান) ব্যাট থেকে। তাওহীদ হৃদয় করেছেন ৮৭, মিরাজ করেছেন ৭০ রান। অন্যদিকে আফগান অধিনায়ক ইব্রাহিম জাদরান একাই করেছেন ২১৩ রান, যা পার্থক্য স্পষ্ট করে দিয়েছে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল রশিদ খানের স্পিন। তিন ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ১১ উইকেট, ইকনোমি রেট মাত্র ২.৭৩।
বাংলাদেশ দল রশিদের সামনে একেবারেই অসহায় ছিল, যা ব্যাটিং ব্যর্থতার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে আগামি সিরিজে কিছুটা স্বস্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক, ‘আমাদের প্রতিপক্ষ এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আমরা ঘরের মাঠে মিরপুরের উইকেটে খেলছি, এবং প্রতিপক্ষেও রশিদের মতো বা তেমন মানের স্পিনার নেই। এটা আমাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির। তবে আফগানিস্তান সফরের কষ্টটা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে খেলোয়াড়দের।’
উইন্ডিজের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ১৮, ২১ ও ২৩ অক্টোবর ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে, আর প্রতিটি শুরু হবে দুপুর ১:৩০ মিনিটে।
এরপর দুই দল চট্টগ্রামে গিয়ে খেলবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ-যা অনুষ্ঠিত হবে ২৭, ২৯ ও ৩১ অক্টোবর।
Discussion about this post