চটগ্রাম টেস্ট অনেকটাই হাত ছাড়া হয়ে গেছে বাংলাদেশের। শনিবার জয় নয়, ড্রয়ের কথা চিন্তা করেই ব্যাট করবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে শেষদিনে শ্রীলঙ্কার জিততে চাই ১০ উইকেট।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিততে হলে রীতিমতো রেকর্ড গড়তে হবে মুশফিকুর রহীমদের। জিততে বাংলাদেশের চাই ৪৬৭ রান। সেটা ৯০ ওভারে অসম্ভব মিশন!
শুক্রবার টেস্টের চতুর্থ দিনে শেষ আধঘন্টা ব্যাট করে দ্বিতীয় ইনিংসে কোন উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। ১২ রান তুলেছেন তামিম ইকবাল (৭) ও শামসুর রহমান (৪)।
তার আগে কুমার সাঙ্গাকারা আরো একবার মুগ্ধ করলেন তার দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে। প্রথম ইনিংসে ট্রিপল সেঞ্চুরির পর এবার তুলেন নিলেন আরেকটি শতক। সঙ্গে দীনেশ চান্দিমালের সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ৩০৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।
গ্রাহাম গুচের পর দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে একই টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি করলেন সাঙ্গাকারা। ১৯৯০ সালে লর্ডস টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ৩৩৩ ও ১২৩ রান করেন ইংল্যান্ডের সাবেক ওই ক্রিকেটার।
সাঙ্গাকারার এটি ৩৫তম শতরান। চান্দিমাল পেলেন তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি।
এর আগে ৮ উইকেটে ৪০৯ রান নিয়ে শুক্রবার খেলা শুরু করে ৪২৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
১ম ইনিংসে অলআউট হয়ে শ্রীলঙ্কা তুলে ৫৮৭ রান। ১৪৮ রানে ৫ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে ১১ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন তিনি।
৩১৯ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন কুমার সাঙ্গাকারা। তাকে ফেরান নাসির হোসেন। এটিই তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের টেস্ট ইনিংস। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টে তিনি খেলেন ২৮৭ রানের এক দারুণ ইনিংস। এবার পেয়ে গেলেন ট্রিপল সেঞ্চুরি!
আগের দিনই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাকে ছুঁয়েছিলেন তিনি। তুলে নিয়েছিলেন ৩৪তম টেস্ট সেঞ্চুরি। এবার ডাবল সেঞ্চুরিতেও লারাকে স্পর্শ করলেন সাঙ্গাকারা। দু’জনেইর ডাবলসেঞ্চুরি ৯টি। সর্বোচ্চ ১২টি নিয়ে শীর্ষে অজি কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ১ম ইনিংসে ৫৮৭/১০ (সাঙ্গাকারা ৩১৯*, জয়াবর্ধনে ৭২, মেন্ডিস ৪৭; সাকিব ৫/১৪৮) ও ২য় ইনিংসে ৩০৫/৪ ডিক্লে. (সাঙ্গাকারা ১০৫, চান্দিমাল ১০০*, ম্যাথিউস ৪৩*; মাহমুদুল্লাহ ২/৪৬, সাকিব ১/৮০, সোহাগ ১/৮৭)
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংসে ৪২৬/১০ (শামসুর ১০৬, ইমরুল ১১৫, সাকিব ৫০, নাসির ৪২, মাহমুদুল্লাহ ৩০; মেন্ডিস ৬/৯৯) ও ২য় ইনিংসে ১২/০ (তামিম ৭*, শামসুর ৪*;)
Discussion about this post