মাঠে ঝলমলে ক্যারিয়ারের আড়ালে বছরের পর বছর ধরে এক নীরব লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মাইকেল ক্লার্ক। ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছেন অসংখ্য ম্যাচ, নেতৃত্বে এনে দিয়েছেন ঐতিহাসিক অ্যাশেজ জয়। কিন্তু ক্রিকেট মাঠে সূর্যের নিচে কাটানো দীর্ঘ সময়ই যেন এখন তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০০৬ সালে প্রথম মুখে স্কিন ক্যান্সারের উপসর্গ ধরা পড়ে এই সাবেক অধিনায়কের। এরপর থেকে একের পর এক অস্ত্রোপচার- কখনো কপাল, কখনো নাক। সর্বশেষ ইনস্টাগ্রামে জানালেন, আবারও তার নাক থেকে ক্যান্সারের একটি অংশ অপসারণ করতে হয়েছে। ক্লার্ক বলছিলেন, ‘ত্বকের ক্যান্সার অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ বাস্তবতা। প্রতিরোধই শ্রেষ্ঠ সমাধান। তাই নিয়মিত চেকআপ করান, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লেই বাঁচার সুযোগ অনেক বেশি।’
অস্ট্রেলিয়ায় স্কিন ক্যান্সারের প্রকোপ অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। প্রবল অতিবেগুনি রশ্মি, ভৌগোলিক অবস্থান আর ফর্সা চামড়ার সংখ্যাধিক্যের কারণে দেশটিতে ৭০ বছরের আগে প্রতি তিনজনের মধ্যে দু’জনই এ রোগে আক্রান্ত হন। ক্রিকেটারদের ঝুঁকি আরও বেশি, কারণ তাদের জীবনই সূর্যের নিচে।
ব্যাট হাতে ১৭ হাজার আন্তর্জাতিক রান করলেও, জীবনের এই অধ্যায়ে ক্লার্কের বড় অবদান তার সতর্কবার্তাগুলো। তরুণদের উদ্দেশে তার সরল পরামর্শ, ‘রোদে বের হলে ত্বক ঢেকে রাখো, কারণ প্রতিরোধই তোমার জীবনের সেরা রক্ষাকবচ।’
২০১০ সাল থেকে ক্যান্সার কাউন্সিলের দূত হিসেবে কাজ করছেন তিনি। ব্যক্তিগত যন্ত্রণা গোপন না রেখে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে অন্যদের সচেতন করাই এখন তার নতুন লড়াই।
Discussion about this post