ডেল স্টেইনের অনুপস্থিতিটা টের পাওয়া গিয়েছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচেই। গতকাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা মাঠে পায়নি আরেক পেসার মরনে মরকেলকেও। নিয়মিত অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ আর অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসও নেই প্রোটিয়াদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের মিশনে। প্রায় নবগঠিত একটা দল নিয়েই ইংল্যান্ডে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ২৬ রানে হেরে শুরুটা ভালোভাবে করতে না পারলেও গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৭ রানের জয় দিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে পেরেছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল। ম্যাচ শেষে তাই উদীয়মান তারকাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন হাশিম আমলা।
৯৭ বলে ৮১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ওপেনার হাশিম আমলাই গড়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের ভিত। স্বীকৃতিস্বরূপ ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন এই প্রোটিয়া ওপেনার। তবে দলের প্রধান দুই পেসার স্টেইন আর মরকেলের অনুপস্থিতিতে ২৩৪ রানের পুঁজিটা জয়ের জন্য যথেষ্ট কি না, তা নিয়ে সংশয় জেগেছিল দক্ষিণ আফ্রিকান সমর্থকদের মনে। কিন্তু দুর্দান্ত বোলিং করে সেই সংশয় উড়িয়ে দিয়েছেন ক্রিস মরিস ও রায়ান ম্যাকলারেন। মরকেলের ইনজুরির কারণে ওয়ানডে অভিষেকের সুযোগ পাওয়া মরিস মাত্র ২৪ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট। ম্যাকলারেনও গতকাল করেছেন ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং। ৮ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান দিয়ে পেয়েছেন চারটি উইকেট। নতুনদের এই সাফল্য ব্যাপকভাবে উজ্জীবিত করেছে হাশিম আমলাকে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অভাববোধ করলেও উদীয়মান এই তারকারাই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশাবাদী এই ডানহাতি ওপেনার। গতকাল ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘স্টেইন আর মরকেলের অভাব যেকোনো দলই অনুভব করবে। ক্যালিস-স্মিথের অভিজ্ঞতাটাও আমরা কাজে লাগাতে পারছি না। কিন্তু এখন আমরা দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় পেয়েছি। এই জয়টা দলের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দেবে।’
Discussion about this post