আবুধাবির রোদ গায়ে মেখে যখন ক্রিকেটযুদ্ধে নামবে বাংলাদেশ, তখন প্রতিপক্ষের চোখে থাকবে আগুন। একে তো এশিয়া কাপ, তার ওপর প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান-যাদের বিপক্ষে সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশের রেকর্ড কিছুটা কাঁটা হয়ে আছে।
কিন্তু এই আফগান শিবির থেকেই এবার উঁকি দিল এক অপ্রত্যাশিত চমক। ২২ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি), যেখানে নেই দুই পরিচিত মুখ-রহস্য স্পিনার মুজিব-উর রহমান এবং পাওয়ার হিটার নাজিবউল্লাহ জাদরান।
বিশেষ করে মুজিবের অনুপস্থিতি যেন এক ধরনের হিসাব বদলে দেয়। বাংলাদেশের ব্যাটারদের বিপক্ষে তাঁর পরিসংখ্যান এক কথায় ভয়াবহ। ৯ ম্যাচে ১৩ উইকেট, ইকোনমি ৫.২৫। তাঁর বল ঘুরত চোখে পড়ার মতো, আর কাঁপত শান্ত-লিটনদের ব্যাট। কিন্তু এবার প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়ায় স্বস্তির হাওয়া বইছে টাইগার শিবিরে। তবে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না-দুই সপ্তাহব্যাপী প্রস্তুতি ক্যাম্প শেষে ঘোষিত হবে চূড়ান্ত ১৫ জনের দল, সেখানেই দেখা যেতে পারে নতুন নাটক।
প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আফগানিস্তান নিচ্ছে পূর্ণাঙ্গ পন্থা। ২৯ আগস্ট থেকে শারজায় শুরু হবে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ, যেখানে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও স্বাগতিক আরব আমিরাত। সিরিজটি চলবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত-যেটি হবে আসন্ন এশিয়া কাপের ‘জেনারেল রিহার্সাল’।
এই সিরিজের পরই মূল মঞ্চ এশিয়া কাপ। ‘বি’ গ্রুপে আফগানদের সঙ্গী বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও হংকং। প্রতিটি দলই ভিন্ন ভিন্ন বিপদের নাম। শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের মেধা আর হংকংয়ের চমকে দেওয়ার প্রবণতা-সব মিলিয়ে কোনো ম্যাচই হবে না সহজ। আফগানদের তাই শুরু থেকেই থাকতে হবে ফোকাসে।
বাংলাদেশেরও সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতি চলছে। দল দেশ ছাড়বে ৬ বা ৭ সেপ্টেম্বর, প্রথম ম্যাচ ১১ তারিখ, প্রতিপক্ষ হংকং। তবে চোখ থাকবে আফগানদের দিকেও—বিশেষ করে মুজিব শেষ পর্যন্ত ফিরছেন কি না, এবং ফিরলে কোন ছকে সাজাবে রশিদ-নবীরা তাদের স্পিন-ফাঁদ।
আফগানিস্তানের প্রাথমিক দল
রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, সেদিকুল্লাহ আতাল, ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল, ইব্রাহিম জাদরান, দারউইশ রাসুলি, মোহাম্মদ ইসহাক, মোহাম্মদ নবী, নাঙ্গিয়াল খারোতি, শরাফুদ্দিন আশরাফ, করিম জানাত, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, গুলবাদিন নাইব, মুজিব জাদরান, এ এম গজনফর, নূর আহমদ, ফজলহক ফারুকি, নাভিন-উল-হক, ফরিদ মালিক, সালিম সাফি, আবদুল্লাহ আহমাদজাই ও বশির আহমদ।
Discussion about this post