শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাম্বুলায় রোববার অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জাকের আলী অনিককে দেখা যাবে কি না, তা এখনো চূড়ান্ত নয়। বাঁ ঊরুর চোট পুরোপুরি না সারায় ক্যান্ডিতে প্রথম ম্যাচে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও তার খেলা নির্ভর করছে শেষ মুহূর্তের ফিটনেস পরীক্ষার ফল এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর।
গল টেস্টে চোট পাওয়া এই উইকেটকিপার-ব্যাটার পুরোপুরি সুস্থ না হলেও দলের ফিজিও ও চিকিৎসকদের মতে, শুধুমাত্র উইকেটকিপিং করলে চোটের ঝুঁকি কম থাকবে। তবে তাকে মাঠে নামানো হলে কিপার-ব্যাটার হিসেবেই বিবেচিত হবেন তিনি। এ ক্ষেত্রে প্রথম ম্যাচে কিপিং করা লিটন দাসকে সরে দাঁড়াতে হতে পারে। সূত্রগুলো বলছে, জাকেরকে খেলানোর সম্ভাবনা রয়েছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ম্যাচের দিন সকালে।
অভিষেকের পর থেকে টানা ছয়টি টি-টোয়েন্টি খেলা জাকের আলী অনিক এখন বাংলাদেশ দলে প্রায় নিয়মিত মুখ। যদিও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা এখনও তার মধ্যে দেখা যায়নি। ব্যতিক্রম হিসেবে রয়েছে আমিরাতের বিপক্ষে ৩৪ বলে ৪১ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০ বলে ৩৬ রানের ইনিংস। বাকি ম্যাচগুলোয় তার ব্যাট ছিল নীরব।
তবুও টিম কম্বিনেশন ও ব্যাটিং লাইনআপে ভারসাম্য আনতে জাকেরের অন্তর্ভুক্তি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। উইকেটকিপিংয়ে তার অভিজ্ঞতাও দলকে সহায়তা করতে পারে, বিশেষ করে এমন এক ম্যাচে যেখানে বাংলাদেশ সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে রয়েছে।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ের ফলে বাংলাদেশ এখন সিরিজে পিছিয়ে। ডাম্বুলায় দ্বিতীয় ম্যাচটি তাই লিটন দাসের দলের জন্য ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে পরিণত হয়েছে।
Discussion about this post