শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হারার পর ওয়ানডে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। তবে আজকের ম্যাচটি শুধুই একটি সিরিজের সূচনা নয়-এটি ইতিহাস গড়ার দিনও। ২০ বছর পর বাংলাদেশ খেলছে একাদশে পাঁচ সিনিয়র খেলোয়াড় ছাড়া, আর সেই ম্যাচেই বল হাতে বাজিমাত করেছেন তরুণরা।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ব্যাটিংবান্ধব উইকেটেও তাদের শুরুটা ছিল বিবর্ণ। ২৩.৪ ওভার শেষে স্কোর: ১১২/৪। চাপের মধ্যে রয়েছেন লঙ্কানরা।
দ্বিতীয় ওভারেই তানজিম সাকিবের দারুণ লাইন-লেংথে শুরুর আভাস মিলেছিল। শেষ পর্যন্ত চতুর্থ ওভারে উইকেট তুলে নেন তিনিই-পাথুম নিসাঙ্কা ৮ বলে শূন্য রানে ফিরেন উইকেটকিপার লিটনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে। এর পরপরই নিশান মাদুশকা (৬ রান) ফেরেন তাসকিনের বলে ইনসাইড এজ হয়ে। আরেকটি আঘাত আসে পঞ্চম ওভারে-কামিন্দু মেন্ডিস টাইমিং করতে না পেরে ধরা পড়েন মিড অফে, ফেরেন ডাক মেরে।
কুশল মেন্ডিস ও অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা মিলে পরিস্থিতি সামাল দিতে শুরু করেন। কিন্তু ৫০ রানের জুটি হওয়ার পর আবারও আঘাত হানে বাংলাদেশ-এবার অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম ফেরান কুশলকে (৪৫)। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্যাট করছেন আসালাঙ্কা, যিনি ৪৮ রানে অপরাজিত।
এই ম্যাচে অনুপস্থিত পাঁচ সিনিয়র তারকা—সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ও মাশরাফি। জাতীয় দলে এদের কেউ না খেলেই নামা হয়নি গত ২০ বছর ও ৩৩১ ওয়ানডে! এই সুযোগে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমন (উইকেটকিপার-ব্যাটার) ও তানভীর ইসলামের (স্পিনার)। তানভীরও ছয় ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন ৮ ইকোনমিতে।
বাংলাদেশ বর্তমানে দশ নম্বরে। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার জন্য শীর্ষ আট দলের মধ্যে থাকা বাধ্যতামূলক। বিশ্বকাপে ব্যর্থতা, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিস, এবং দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হার—সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন চাপে। এই সিরিজ তাই শুধু জয়-পরাজয়ের নয়, ভবিষ্যতের জন্য নতুন ভিত গড়ার মঞ্চ।
Discussion about this post