কলকাতার ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকা জানাল, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন সমস্ত কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভুলে হুমকি দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে। আইসিসিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের উত্থাপিত সংস্কার প্রস্তাব পাস করতে পূর্ণ ১০ সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে ৭ সদস্যের ভোট প্রয়োজন। ইতোমধ্যেই তিন ‘মোড়ল’ নানা চাপে ও প্রলোভনে পক্ষে টেনেছে আরও তিন দেশ জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সংস্কার প্রস্তাব পাসে ম্যাজিক ফিগার ‘সাত’ করতে তাই দরকার আর এক ভোট। সেজন্যই চাপে ফেলা হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে মঙ্গলবার দুবাইতে আইসিসির সভায় বসার আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান জাকা আশরাফ জানা, তিন দেশ যে ‘পজিশন পেপার’ জমা দিয়েছে তার বিরোধিতা করেছে এ চার দেশ।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা তথাকথিত তিন পরাশক্তির প্রস্তাবনার বিরোধিতায় একমত হয়েছে।
এদিকে সারা ক্রিকেট বিশ্বের প্রতিবাদের মুখে পিছু হটেছে আইসিসির তথাকথিত তিন জমিদার। আইসিসির সভায় যে সংস্কার প্রস্তাব তুলেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড, তার থেকে টেস্ট ক্রিকেটকে দুই স্তরে ভাগ করার ব্যাপারটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রথম দিনশেষে কিছু ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে আইসিসির সদস্যরা। সিদ্ধান্ত হয়েছে-
১. সদস্য সব দেশই তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী প্রতিটি ফর্মাটের ক্রিকেটে খেলতে পারবে। সদস্য দেশগুলোর কোনো মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হবে না।
২.টেস্ট ক্রিকেটের ফান্ড থেকে অর্থ বাৎসরিক হিসেবে সদস্য দেশগুলোকে সমানভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। টেস্ট ক্রিকেটের দিন ফেরাতেই এ সিদ্ধান্ত।
৩.সহযোগী সদস্য দেশগুলোকেও তাদের ক্রিকেটের উন্নতিতে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
৪.পারস্পারিক সম্মতির ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজিত হবে।
৫.দুটি কমিটি গড়া হবে। নির্বাহী ও আর্থিক-বানিজ্য বিষয়ক কমিটি। যার সদস্য হবে ৫ দেশ। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ছাড়াও আরও দুটি দেশ থাকবে। ২০১৪ এর জুন থেকে পরবর্তী দুই বছর আইসিসি বোর্ডের চেয়ারম্যান হবে ভারত। নির্বাহী কমিটিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং আর্থিক কমিটির দ্বায়িত্বে থাকবে ইংল্যান্ড।
Discussion about this post