শারজাহর মাঠে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করল সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে তারা হারিয়েছে টেস্ট খেলুড়ে বাংলাদেশকে। এই প্রথমবারের মতো কোনো সহযোগী দেশ এত বড় রান তাড়া করে জয় পেল বাংলাদেশের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ ব্যাট হাতে শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত। উদ্বোধনী জুটিতে ৯ ওভারে আসে ৯০ রান। তানজিদ হাসান খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস, লিটন দাস করেন ৪০। তাওহিদ হৃদয়ের ২৪ বলে ৪৫ আর শেষদিকে জাকের আলীর ঝড়ো ১৮ রানে ২০৫ পর্যন্ত পৌঁছে যায় স্কোর। দীর্ঘ ২৪ ম্যাচ পর দুই শ ছাড়াল টাইগারদের সংগ্রহ।
কিন্তু ব্যাটিং যতটা শক্তিশালী ছিল, বোলিং ছিল ততটাই বেহাল। অভিষিক্ত নাহিদ রানা প্রথম ওভারেই দেন ১৮ রান, দুটি ‘নো’ বলসহ। শরীফুল, রিশাদ ও তানজিমদের খরুচে বোলিংয়ে সুবিধা নিতে ভোলেননি আমিরাতের দুই ওপেনার—মুহাম্মদ ওয়াসিম ও জোহাইব। ওয়াসিম খেলেন ম্যাচজয়ী ৮২ রানের ইনিংস।
শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২৯ রান। শরীফুল এক ওভারে দেন ১৭ রান। তানজিমের শেষ ওভারে দরকার পড়ে ১২। এক ওয়াইড, এক ছক্কা, এক উইকেট আর এক ‘নো’ বল মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত চরম নাটকীয়তায় ১ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। হায়দার আলীর ৬ বলে ১৫ রানের ইনিংস হয়ে থাকে ইতিহাসের অংশ।
বাংলাদেশের ফিল্ডিংও ছিল হতাশাজনক। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ মিস, থ্রোয়ের দেরি—সব মিলিয়ে ম্যাচ বের করে দিয়েছে তারা নিজেরাই। বিশেষ করে শেষ বলগুলোতে হৃদয়ের থ্রো দেরিতে আসায় রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া হয়।
এই জয় টি-টোয়েন্টিতে আমিরাতের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়, আর টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে প্রথম। সঙ্গে সিরিজে সমতা—১–১।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০৫/৫ (তানজিদ ৫৯, হৃদয় ৪৫, লিটন ৪০, জাওয়াদউল্লাহ ৩/৪৫)
আমিরাত: ২০৬/৮ (ওয়াসিম ৮২, হায়দার ১৫*, রিশাদ ২/২৮)
ফল: আমিরাত জয়ী ২ উইকেটে
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুহাম্মদ ওয়াসিম
Discussion about this post