বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ বর্তমানে পায়ের গোড়ালির চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন লন্ডনে। পুরনো চোট আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছে এই পেস তারকাকে। তার সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী। চিকিৎসকদের প্রাথমিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আপাতত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর।
তাসকিনের এই ইনজুরির ইতিহাস নতুন নয়। বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, তাসকিনের গোড়ালির সমস্যার সূচনা হয়েছিল গত অক্টোবরে, বিপিএল শুরুর আগেই। তখন থেকেই তিনি ব্যথা নিয়েই খেলছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলতে গিয়েই ব্যথার তীব্রতা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, বোলিং করাই হয়ে পড়ে কষ্টকর। চিকিৎসকদের পরামর্শে ২৭ এপ্রিল তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন।
তাসকিনের চিকিৎসায় তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যুক্ত রয়েছেন, যারা তার অবস্থা বিশ্লেষণ করছেন। এই চিকিৎসকদের কাছ থেকে চূড়ান্ত মতামত পেলেই নির্ধারিত হবে তাসকিনের পুনর্বাসন-পর্ব কেমন হবে এবং তিনি কত দিনের মধ্যে মাঠে ফিরতে পারবেন। বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন- ৫ মে’র মধ্যে দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠছে-এই চোট কতটা প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে তাসকিনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে? বাংলাদেশের সামনে এখন ব্যস্ততম সময়সূচি। চলতি মে মাসেই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজেও চোটের কারণেই খেলতে পারেননি তাসকিন।
Discussion about this post