পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) প্রথমবার মাঠে নামার অপেক্ষায় ছিলেন লিটন দাস। করাচি কিংসের জার্সিতে নিজেকে মেলে ধরার আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। কিন্তু শুরু হওয়ার আগেই থেমে গেল স্বপ্নের যাত্রা। একমাত্র প্রস্তুতি সেশনেই আঙুলে চোট পেয়ে ছিটকে গেলেন তিনি। স্ক্যানে ধরা পড়েছে হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার। ফলে পিএসএল নয়, লিটনের এখন ঠিকানা বাংলাদেশ।
দুই সপ্তাহের বিশ্রাম দরকার-এই কথা জানিয়ে লিটন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি করাচি কিংসের হয়ে খেলার জন্য খুবই উত্তেজিত ছিলাম। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার ছিল ভিন্ন পরিকল্পনা। অনুশীলনে আঙুলে চোট পাই, স্ক্যানে দেখা গেছে হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার আছে। অন্তত দুই সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে।’
এই ইনজুরির কারণে শুধু পিএসএল নয়, প্রশ্নের মুখে পড়েছে আসন্ন আন্তর্জাতিক সিরিজেও তার অংশগ্রহণ। বিসিবির পক্ষ থেকে এখনই বিস্তারিত কিছু না বলা হলেও, করাচি কিংসের জন্য এটি বড় ধাক্কা।
লিটনকে দলে নেওয়া করাচি কিংস তার উপর অনেকটাই ভরসা করেছিল। ওপেনিংয়ে নির্ভরযোগ্য একজন ব্যাটার হিসেবে তার আগমনকে তারা গুরুত্ব দিয়েছিল। কিন্তু তার বদলি হিসেবে দ্রুত নতুন বিদেশি ব্যাটার খুঁজে বের করাটাও হবে সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং।
বাংলাদেশের আরও দুই ক্রিকেটার পিএসএলে আছেন। রিশাদ হোসেন লাহোর কালান্দার্সের সদস্য হলেও এখনও মাঠে নামা হয়নি তার। নাহিদ রানা পেশোয়ার জালমিতে সুযোগ পেয়েছেন, তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষে যোগ দেবেন তিনি।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরি বলেন, ‘লিটনের থাম্বে আঘাত লেগেছে। তাকে দেশে ফেরত আনা হচ্ছে। পরিস্থিতি বোঝার পর বিস্তারিত জানানো হবে।’
এই ইনজুরি শুধু করাচি কিংস নয়, বাংলাদেশ দলের জন্যও অস্বস্তির বার্তা। বিশেষ করে সামনে যদি কোনো আন্তর্জাতিক সূচি থাকে, সেখানে লিটনের অনুপস্থিতি দলে বড় শূন্যতা তৈরি করতে পারে।
Discussion about this post