সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আজ অন্য এক উৎসবের সাক্ষী হলো। ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর আগমনে সেখানে ভিড় করেছিলেন হাজারো ফুটবলপ্রেমী। তাদের মুখে মুখে একটাই স্লোগান- ‘ওয়েলকাম টু মাদারল্যান্ড হামজা!’
গত ডিসেম্বরেই ফিফা অনুমোদন দিয়েছে, হামজা এখন থেকে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন। সেই ঘোষণার পর থেকেই দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা, যখন তিনি ভারত ম্যাচের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দলে হামজাকে রাখেন। এখন চূড়ান্ত স্কোয়াডেও তার থাকা নিশ্চিত।
ইংল্যান্ড থেকে দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে আজ (সোমবার) সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান হামজা। বিমানবন্দরে তাকে বরণ করতে হাজির ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাতজন নির্বাহী সদস্য। তার বাবা মোরশেদ চৌধুরীও ছিলেন সঙ্গে। এছাড়া বিমানবন্দরের বাইরে ভক্তদের বিশাল সমাগম তৈরি হয়।
বিমানবন্দরে নেমেই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন হামজা চৌধুরী। দেশের হয়ে মাঠে নামার অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, “দেশে ফিরে খুব ভালো লাগছে। বাংলাদেশের হয়ে ফুটবল খেলতে পারবো, এই আনন্দে আমি ভীষণ রোমাঞ্চিত। কোচ কাবরেরার সঙ্গে পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছি। পরিকল্পনা মাফিক খেলতে পারলে ভারতকে হারানোর সুযোগ আছে। ইনশাআল্লাহ, আমরা ভারতকে হারাবো!’
অন্যদিকে, হামজার বাবা মোরশেদ চৌধুরী বলেন, ‘মাতৃভূমির প্রতি টানের কারণেই হামজা এখানে এসেছে। আমি তাকে কখনো জোর করিনি। সে নিজের ইচ্ছাতেই বাংলাদেশের হয়ে খেলতে এসেছে, এটা আমার জন্য গর্বের ব্যাপার।’
বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে যান হামজা। সেখানে দিনটি পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন এবং গ্রামবাসীদের দেওয়া সংবর্ধনায় অংশ নেবেন। এরপর কাল ঢাকা ফিরে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন তিনি।
আগামী ২৫ মার্চ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচেই জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হবে ইংলিশ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের।
Discussion about this post