বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল ওপেনার তামিম ইকবাল এবার ক্রিকেট মাঠের বাইরেও নতুন পরিচয়ে যুক্ত হচ্ছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও এখনও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে যাচ্ছেন তিনি। তবে এবার তিনি সংগঠক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) নতুন দল গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
শুরুতে গুঞ্জন ছিল, ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমানের সঙ্গে যৌথভাবে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব কিনেছেন তামিম। তবে তিনি এই তথ্য অস্বীকার করেছেন। তার ভাষায়, ‘আমি ক্লাবের মালিক নই, শুধু স্পন্সর এনে দিয়েছি।’ যদিও বিনিয়োগ ও সম্পৃক্ততার কারণে তাকে ক্লাবটির বড় এক পৃষ্ঠপোষক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
তবে একই লিগে এক ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আরেকটি ক্লাবের অধিনায়ক হওয়া ‘স্বার্থের সংঘাত’ সৃষ্টি করছে কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়ে তামিম বলেন, ‘এতে সমস্যার কী আছে? যদি গুলশানের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে আমি তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাই, তাহলে কি সবাই বলবে আমি ইচ্ছা করে আউট হয়েছি?’
এদিকে ডিপিএলে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। জাতীয় দলের ওপেনার লিটন দাস এই দলে যোগ দিয়েছেন। দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তরুণ ও অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গঠন করা হয়েছে, যেখানে লিটনই সবচেয়ে বড় তারকা। অন্যদিকে, কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান এখনও কোনো দল পাননি, তাই তার লিগে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
তামিম ইকবাল ক্রিকেট প্রশাসনে যুক্ত হতে চান-এমন ইঙ্গিত আগেও দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের ক্রিকেটারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর সভাপতি মনোনীত হয়েছেন। এবার ডিপিএলের দল গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হওয়া তার সংগঠক হওয়ার পথে আরেকটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
তামিম মনে করেন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রাণ। তাই শুধু ভালো খেলা নয়, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিশ্চিত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় চাই, প্রিমিয়ার লিগে যেন খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ঠিকভাবে নিশ্চিত করা হয়। এটা দেশের ক্রিকেটের জন্য খুবই জরুরি।’
Discussion about this post