জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে আজ মঙ্গলবার সিলেটের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে চারটি ম্যাচ। দেখা মিলল এনামুল হক বিজয়ের শতরান। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ১১ বছর পর শতক তার ব্যাটে। তার পথ ধরে ২১ রানে তারা হারায় ঢাকাকে। মঙ্গলবার ঢাকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করে খুলনা। জবাবে ঢাকা ৪ উইকেটে ২০ ওভারে ১৫৯ রানে আটকে যায়।
৩৮ বলে ফিফটি করেন বিজয়। এর পরের ৫০ রান করতে খেলেন ২৮ বল। ৬৭ বলে ১০১ রান করেন তিনি। নুরুল হাসান সোহান ২৩ বলে ৩৪। জবাবে নেমে ঢাকা ৭২ রানে ৪ উইকেট হারায়। এরপর ৭.৩ ওভারে ৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তাইবুর রহমান ও মাহিদুল অঙ্কন। তারপরও ২১ রানে তারা। চলতি জাতীয় লিগে ৫ ম্যাচে ১ জয় নিয়ে এনামুল হক বিজয়ের দলের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
খুলনা বিভাগ: ২০ ওভারে ১৮০/৩ (এনামুল ১০১, ইমরুল ১৪, আজিজুল ১৮, মিঠুন ০, সোহান ৩৪*; ইমন ৪-০-৪৩-০, সাকিল ৪-০-৪২-০, নাজমুল অপু ৪-০-৩৪-২, তাইবুর ৪-০-২৮-০, শুভাগত ২-০-১১-০, সাইফ ২-০-১৪-০)।
ঢাকা বিভাগ: ২০ ওভারে ১৫৯/৪ (জাওয়াদ ১১, রনি ৭, সাইফ ১০, আরিফুল ১১, তাইবুর ৬৩*, মাহিদুল ৪৩*; আল আমিন ৪-০-৩৬-১, নাহিদুল ৪-০-১৩-০, জায়েদ ৪-০-১৩-৩, মৃত্যুঞ্জয় ৪-০-৩৮-০, আজিজুল ২-০-২৫-০, জিয়াউর ২-০-৩২-০)।
ফল: খুলনা বিভাগ ২১ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: এনামুল হক।
…………
মঙ্গলবার জাতীয় লিগের আরেক ম্যাচে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ৪ রানে জিতেছে মুমিনুল হকের দল চট্টগ্রাম। সিলেট একাডেমি মাঠে আগে ব্যাট করে চট্টগ্রাম বিভাগ ৭ উইকেটে ১৯৮ রান করে।
জবাবে নেমে রাজশাহী জয়ের কাছাকাছিই ছিল। শেষ ওভারে তাদের চাই ১৩ রান। ৮ রান নিতেই তারা ৩ উইকেট শেষ। এনসিএলে প্রথমবার নেমে মুশফিকুর রহিম ৪৬ রান করেন, তাওহীদ হৃদয় ৬৯।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
চট্টগ্রাম বিভাগ: ২০ ওভারে ১৯৮/৭ (মুমিনুল ৫২, জয় ১১, শাহাদাত ৩৫, ইরফান ৫৪, ইয়াসির ১২, সাজ্জাদুল ০, নাঈম ২০*, শহিদুল ১, শামিম ২*; নিহাদউজ্জামান ২-০-২৭-০, শফিউল ৪-০-২৯-১, শফিকুল ৪-০-৪৬-১, ফরহাদ ৩-০-৩২-০, তাইজুল ১-০-১৯-০, সাব্বির ৪-০-২১-৩, শান্ত ২-০-২৩-১)।
রাজশাহী বিভাগ: ২০ ওভারে ১৯৪/৭ (শান্ত ৪, হাবিবুর ৩৯, সাব্বির ১৩, হৃদয় ৬৯, মুশফিক ৪৬, ফরহাদ ৩*, প্রিতম ৬, নিহাদউজ্জামান ০, শফিউল ১*; ইফরান ৪-০-৪০-১, শহিদুল ৪-০-৩৭-০, শরিফ ৪-০-৩৮-৩, শামিম ৪-০-৩১-০, নাঈম ২-০-২৫-২, মুমিনুল ২-০-২২-০)
ফল: চট্টগ্রাম ৪ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: নাঈম হাসান
……….
লিগের মঙ্গলবারের আরেক খেলায় ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে সিলেটের লক্ষ্য ছিল ১৫৭ রান। ৭৮ রান তুলতেই ৭ উইকেট শেষ। এরপর অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি ৬ বলে ২৪ রানের কঠিন সমীকরণ প্রায় পূরণ করে ফেলেছিলেন। প্রথম তিন বলে দুই ছক্কায় ১২ রান। শেষ ৩ বলে চাই ১২ রান। পরের বলে মিড অফে উড়িয়ে ২। পঞ্চম বলে একই জায়গায় দিয়ে ছক্কা রাব্বির। শেষ বলে চাই ৪ রান। শহিদুলের লো ফুলটসে ২ রান নেন
৩৯ বলে অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতাতে পারেননি সিলেট অধিনায়ক মাহফুজুর। সিলেটকে ১ রানে হারায় ঢাকা মেট্রো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা মেট্রো: ২০ ওভারে ১৫৬/৭ (ইমরানউজ্জামান ২, নাঈম ১৭, আনিসুল ৩৯, সাদমান ১৮, শামসুর ২৮, তাহজিবুল ২, আবু হায়দার ৪৭*, রকিবুল ০, শহিদুল ০*; ফাহাদ ২-০-১৮-১, জিসান ২-০-১৩-০, খালেদ ৩-০-৪০-০, নাবিল ৪-০-১৫-০, রাব্বি ৩-০-১৮-১, নাঈম ৪-০-২৯-৩, তোফায়েল ২-০-২২-০)
সিলেট: ২০ ওভারে ১৫৫/৭ (তৌফিক ২৮, জিসান ৫, পিনাক ৭, ওয়াসিফ ১, তোফায়েল ২১, রাব্বি ৮২*, অমিত ৩, ফাহাদ ০, নাঈম ৫*; (রকিবুল ৪-০-২৩-১, আলিস ৪-০-১৭-০, আরাফাত ৩-০-২৪-১, শহিদুল ৪-০-৪৭-১, শামসুর ১-০-৬-১, আবু হায়দার ৪-০-৩৬-২)
ফল: ঢাকা মেট্রো ১ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: আবু হায়দার রনি
…………
মঙ্গলবারের আরেক খেলায় রংপুর বিভাগের সামনে উড়ে গেল বরিশাল বিভাগ। সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে বরিশাল অলআউট ১০৮ রানে। রংপুর জয় পায় ১৩ বল বাকি রেখেই। ৫ ম্যাচের সবকটি জিতে শীর্ষে রংপুর, সমান ম্যাচে বরিশালের হার তিন ম্যাচে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বরিশাল বিভাগ: ১৯.২ ওভারে ১০৮ (ইফতি ২৫, মইনুল ১৪, অনিক ৬, ফজলে রাব্বি ১৫, সালমান ১০, সোহাগ ২, মইন ১, তানভির ০, কামরুল ১৫*, রুয়েল ১১, মেহেদি ০; এনামুল ৪-০-৩২-০, মুকিদুল ৪-০-২২-২, আলাউদ্দিন ৪-০-৯-৪, তানভির ১-০-৬-০, সাকলাইন ৩.২-০-২৭-২, আরিফ ২-০-৫-১, আরিফুল ১-০-৬-০)।
রংপুর বিভাগ: ১৭.৫ ওভারে ১০৯/৩ (রিজওয়ান ৫৩, তানবির ২, নাঈম ১৬, আল মামুন ২১*, আকবর ১৬*; কামরুল ২-০-১২-০, তানভির ৪-০-১৬-০, মইনুল ৩-০-২৯-১, রুয়েল ১-০-১১-০, মেহেদি ২-০১২-০, সোহাগ ২.৫-০-১৭-০, মইন ৩-০-১১-১)।
ফল: রংপুর বিভাগ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: আলাউদ্দিন বাবু।
Discussion about this post