দারুণ দক্ষতায় ২৯৪ রান তুলেছি বাংলাদেশ দল। মনে হচ্ছিল এই পুঁজি নিয়ে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি জিতে যাবে বাংলাদেশ দল। কিন্তু প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই রান তাড়া করে ৫ উইকেটে জিতল ১৪ বল হাতে রেখেই।
সেন্ট কিটসে রোববার বাংলাদেশের ব্যাটাররা নিজেদের ইনিংসে ১৫৫টি বল ডট খেলেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা মিরাজ নিজে ৭৩.২৬ স্ট্রাইক রেটে ১০১ বলে ৭৪ রান তুলেছেন। তাছাড়া বোলাররাও শুরুটা ভাল করেছিলেন। ৮.১ ওভারে ২৭ রান তুলতে ২ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরই ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতে নেয় ম্যাচ।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে রোববার বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত ছয় বছরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা ১১ ওয়ানডে হারার পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল ক্যারিবীয়রা।
তাদের জয়ের নায়ক শেরফান রাদারফোর্ড। সাত চার ও আট ছক্কায় ৮০ বলে ১১৩ রান করেন তিনি! ক্যারিয়ারের অষ্টম ইনিংসে দেখা পেলেন প্রথম শতরানের।
এর আগে ওপেনিংয়ে ৬০ বলে ৬০ তুলেন তানজিদ হাসান। চারে নেমে মিরাজ ১০১ বলে ৭৪ রান। শেষে ৪৪ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। ৪০ বলে ৪৮ তুলেন জাকের আলি।
উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার লড়বে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৯৪/৬ (তানজিদ ৬০, সৌম্য ১৯, লিটন ২, মিরাজ ৭৪, আফিফ ২৮, মাহমুদউল্লাহ ৫০*, জাকের ৪৮, রিশাদ ০*; জোসেফ ১০-১-৬৭-২, সিলস ১০-০-৬৩-১, শেফার্ড ১০-১-৫১-৩, গ্রেভস ৭-০-৫০-০, চেইস ৩-০-১৬-০, মোটি ১০-০-৪২-০)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৭.৪ ওভারে ২৯৫/৫ (কিং ৯, লুইস ১৬, কার্টি ২১, হোপ ৮৬, রাদারফোর্ড ১১৩, গ্রেভস ৪১*, চেইস ২*; তাসকিন ৯-১-৫৩-০, তানজিম ১০-১-৫৫-১, নাহিদ ৮.৪-০-৫০-১, রিশাদ ৯-০-৪৯-১, মিরাজ ৯-০-৬২-১, সৌম্য ২-০-২৪-১)
ফল: ৫ উইকেটে জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১-০তে এগিয়ে।
ম্যাচসেরা: শেরফেনি রাদারফোর্ড।
Discussion about this post