ম্যাচটা ছিল অলিখিত ফাইনাল। সমতা ছিল ১-১। মানে সোমবারের ম্যাচে যারা জিতবে তারাই পাবে ট্রফি। সিরিজ নির্ধারণী সেই ম্যাচে বাজিমাত আফগানিস্তানের। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এই পথ ধরে
বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-১ জিতল আফগানরা।
শারজার মাঠে দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তুলে ৮ উইকেটে ২৪৪ রান। জবাব দিতে নেমে আফগানরা ৪৮.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে আফগানিস্তান। হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে বেশ দক্ষতা দেখাল বাংলাদেশ। যদিও আক্ষেপ থাকল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ফর্মে ফেরার দিনে মাত্র ২ রানের আক্ষেপ এই অভিজ্ঞ ব্যাটারের। শেষ বলে সেঞ্চুরির জন্য তার দরকার ছিল ৩ রান। আজমাতউল্লাহ ওমারজাইয়ের ফুল লেংথ বল অন সাইডে খেলে মাত্র ১ রান নিতে পারলেন মাহমুদউল্লাহ।
সেঞ্চুরি না পেলেও মাহমুদউল্লাহর ৯৮ রানে ভর করে ৪ উইকেটে ৭২ রান থেকে ৮ উইকেপে পায় ২৪৪ রান। প্রায় ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে এই প্রথম নব্বই ছুঁয়ে সেঞ্চুরির আগে ফিরলেন ৩৮ বছর বয়সী রিয়াদ।
নাজমুল হোসেন শান্ত ইনজুরিতে থাকায় এদিন বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শততম ম্যাচে প্রথমবার দলকে নেতৃত্ব দিতে নেমে ১১৯ বলে ৬৬ রানের দেখার মতো ইনিংস খেলেন। পঞ্চম উইকেটে মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহর জুটিতে আসে ১৮৮ বলে ১৪৫ রান। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি এটিই।
আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট তুলেন আজমাতউল্লাহ ওমারজাই।
বারবার জীবন পেয়ে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নেন আফগান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান রহমানউল্লাহ গুরবাজ। চতুর্থ উইকেটে ওমারজাইয়ের সঙ্গে গড়েন ১০০ রানের জুটি।
গুরবাজ শত রান করে আউট হয়ে গেলে মোহাম্মদ নবিকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন ওমারজাই। ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তারা দুজন ৪৮ বলে জমা করেন ৫৮ রান। ওমারজাই ৭৭ বলে ৭০ ও নাবি ২৭ বলে ৩৪ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন নাহিদ রানা ও মুস্তাফিজুর রহমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৪৪/৮ (তানজিদ ১৯, সৌম্য ২৪, জাকির ৪, মিরাজ ৬৬, হৃদয় ৭, মাহমুদউল্লাহ ৯৮, জাকের ১, নাসুম ৫, শরিফুল ২*; ফারুকি ৭-০-৪১-০, গাজানফার ৭-০-৪৯-০, ওমারজাই ৭-০-৩৭-৪, নবি ১০-২-৩৭-১ খারোটে ৯-০-৩৫-০, রশিদ ১০-০-৪০-১)।
আফগানিস্তান: ৪৮.২ ওভারে ২৪৬/৫ (গুরবাজ ১০১, আটাল ১৪, রেহমাত ৮, শাহিদি ৬, ওমারজাই ৭০*, নাইব ১, নবি ৩৪* ; শরিফুল ৮.২-০-৬১-০, নাহিদ ১০-১-৪০-২, নাসুম ১০-২-২৪-০, মুস্তাফিজ ৯-০-৫০-২, মিরাজ ১০-০-৫৬-১, সৌম্য ১-০-১২-০)।
ফল: আফগানিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে আফগানিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: আজমাতউল্লাহ ওমারজাই।
সিরিজসেরা: মোহাম্মদ নবি।
Discussion about this post