অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়া আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) পরিবর্তন আনার । দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে যথাসম্ভব কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এবার বিসিবির একাধিক সমস্যার জায়গা তুলে ধরলেন ক্রিকেট কোচ ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
আজ (শনিবার) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বাইরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ দেশের ক্রিকেট বোর্ডের বেশ কয়েকটি সমস্যার কথা বলেছেন তিনি। তার সেই কথার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে-
‘এই রূপরেখা নিয়েই তো আমরা বছরের পর বছর চিন্তাভাবনা করেছি, বিশেষ করে আমি। কোন জায়গায় কী করলে আরেকটু এগোনো যায়, কোন জায়গায় ঘাটতি আছে, আমাদের কী রিসোর্স আছে, যা দিয়ে আমরা ওভারকাম করতে পারি। সামনে হয়তো এটা নিয়ে আমি আলাপও করব। অনেক জায়গায় আমরা পিছিয়ে আছি অথচ সে জায়গায় আমাদের পিছিয়ে থাকার কোনো কারণ নেই।’
‘বোর্ডে যদি ইনপুট দেওয়ার সুযোগ থাকে অবশ্যই অংশগ্রহণ করব। শুধু আমার কথা নয়, যারা এসব বিষয়ে অবগত আছেন, তাদের কাছ থেকে ধারণা নেয়া দরকার। তাহলে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়। আমি যদি আনুষ্ঠানিক কিছু করি তাহলে নিশ্চয়ই আলাপ করব। আমি চাইব কম্প্রিহেনসিভ একটা রূপরেখা নিয়ে আসতে। যেন আমরা, যারা দায়িত্বে আছেন তাদের সাহায্য করতে পারি। উপদেষ্টারা চান সিস্টেমটাকে ঠিক করতে। যারা সিস্টেম ভালোভাবে চালাতে পারবেন, তিনিই ক্রিকেট বোর্ডে আসার যোগ্যতা রাখেন।’
‘আমাদের দেশে ও দেশের বাইরে অনেক লোক আছে যারা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তাদের নিয়ে যদি কিছু চিন্তা-ভাবনা করা হয়, তাহলে তারা তাদের মতো করে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে। কারণ তারা নিশ্চয়ই ভাববে না যে ক্রিকেট বোর্ডে আসা মানেই একটা প্রিভিলেজ। তারা এটাকে দায়িত্ব হিসেবে নেবে। এখানে আমরা অনেক সেলিব্রেটিকে দেখতে পাই। কাজের মানুষদের দেখি না।’
‘আমার মনে হয় দায়টা সবচেয়ে বেশি নেতৃত্বের। নেতৃত্ব যদি ঠিক থাকে তাহলে বাকি জিনিসগুলো এমনিতেই চ্যানেলাইজ হয়ে যায়। আমরা তো চাই এমন একটা বোর্ড হোক, যেখানে ভালো একজন লিডার থাকবে, যার ভিশন থাকবে, যার মধ্যে বড় স্বপ্ন থাকবে। সে জন্য স্বচ্ছতা বা জবাবদিহি থাকা প্রয়োজন। সেরকম অনেক মানুষই আমাদের দেশে আছেন কিন্তু তারা কাজ করার কোনো সুযোগই পাননি।’
Discussion about this post