নারী এশিয়া কাপ মানেই যেন ফাইনালে ভারত। গত ৯ আসরের প্রতিবারই শিরোপা লড়াইয়ে ছিল দলটি। ইতিহাসের ৮ আসরের ৭টিতে চ্যাম্পিয়ন তারা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের ট্রফি জয়ের গল্প বাদ দিলে পুরোটা জুড়েই ভারতের জয়জয়কার। সেই ঐতিহ্যে ফের ছন্দপতন!
রোববার ডাম্বুলায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে মুদ্রার আরেক পিঠ দেখল ভারত। স্মৃতি মান্ধানার হাফসেঞ্চুরিতে ভারত ৬ উইকেটে তুলে ১৬৫ রান। মনে হচ্ছিল এই পুঁজিতে জিততে যাচ্ছে তারা। কিন্তু স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ১৮.৪ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই মেতে উঠে ট্রফি জয়ের আনন্দে!
লঙ্কানদের এশিয়া কাপ জয়ের মূল কারিগর অধিনায়ক চামিরা আতাপাত্তু। তার ৪৩ বলে ৬১ রানের পর হারশিতা সামারাবিক্রমার অপরাজিত ৬৯ রান তুললে ৮ উইকেটে ফাইনাল জেতে শ্রীলঙ্কা। প্রথম এশিয়া কাপের শিরোপা ট্রফি উঠল দেশটির মেয়েদের হাতে।
মেয়েদের এশিয়া কাপের নবম আসরে এসে প্রথমবার ট্রফি জিতল শ্রীলঙ্কা। এর আগে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে চারটি ফাইনালে হারে তারা।
রীতিমতো রেকর্ড গড়েই এবার জিতল লঙ্কান মেয়েরা। এটিই এশিয়া কাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। ২০১৮ সালের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১৪২ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
আতাপাত্তুই পুরো আসরে পথ দেখান দলের। এবারের এশিয়া কাপে দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে তার মোট রান ৩০৪। টুর্নামেন্টের এক আসরে ৩০০ রান করা প্রথম ব্যাটার তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত: ২০ ওভারে ১৬৫/৬ (শেফালি ১৬, স্মৃতি ৬০, উমা ৯, হারমানপ্রিত ১১, জেমিমা ২৯, রিচা ৩০, পূজা ৫*, রাধা ১*; প্রিয়াদার্শিনি ৪-০-৩১-০, প্রাবোধানি ৩-০-২৭-১, সুগান্ধিকা ৪-০-২৩-০, কাভিশা ৪-০-৩৬-২, সাচিনি ২-০-২০-১, আতাপাত্তু ৩-০-২৮-১)
শ্রীলঙ্কা: ১৮.৪ ওভারে ১৬৭/২ (গুনারাত্নে ১, আতাপাত্তু ৬১, হার্শিতা ৬৯*, কাভিশা ৩০*; রেনুকা ৩-০-২৩-০, পূজা ৩.৪-০-২৯-০, দিপ্তি ৪-০-৩০-১)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে জিতে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন
ফাইনাল সেরা: হার্শিতা সামারাউইক্রামা
টুর্নামেন্টসেরা: চামারি আতাপাত্তু
Discussion about this post