সময়টা ভাল যাচ্ছিল না বাংলাদেশের। কিছুতেই ছন্দে ছিল না দল। তারওপর যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতেই স্বাগতিকদের কাছে ভরাডুবি! কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঠে নেমেই দুর্দান্ত জয়।
যদিও তাওহিদ হৃদয়ের ঝড়ো ইনিংসের পর অন্যরা ব্যর্থ হলে শঙ্কা জাগছিল। শেষ পর্যন্ত দৃঢ়তা দেখিয়ে বাংলাদেশকে জেতালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে দারুণ সূচনা করল বাংলাদেশ। ১২৫ রানের লক্ষ্য ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পা রাখে টাইগাররা। ইতিহাস জানাচ্ছে-টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনবারের দেখায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয় এটি। টানা দুই ম্যাচ হেরে সুপার এইট খেলার সম্ভাবনা ফিকে হয়ে গেল দলটির।
শনিবার টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের আগে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামের উইকেটে শ্রীলঙ্কা পুরো ২০ ওভার খেললেও ৯ উইকেটে মাত্র ১২৪ রান করে। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানরা উইকেট থেকে গতি ও বাউন্স পেয়েছেন। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনও ছিলেন সফল। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ উইকেটে লিটন–হৃদয়ের ৩৮ বলে ৬৩ রানের জুটি বাংলাদেশের ৬ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে জয়ের পথ পায় দল।
এদিন ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। তার পরপর দুই বলে দুই উইকেটেই বোলিংয়ে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ায়। জয় পাওয়ার পর ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি।
হতাশ করেন সৌম্য সরকার। সব মিলিয়ে ৮৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে সৌম্যর ১৩তম শূন্য এটি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই সবচেয়ে বেশি শূন্যের রেকর্ড। ১৪৩ ইনিংসে আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক পল স্টার্লিংয়ের শূন্য ১৩টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১২৪/৯ (নিসাঙ্কা ৪৭, কুসাল ১০, কামিন্দু ৪, ধানাঞ্জয়া ২১, আসালাঙ্কা ১৯, হাসারাঙ্গা ০, ম্যাথিউস ১৬, শানাকা ৩, থিকশানা ০, পাথিরানা ০*, থুশারা ০*; তানজিম ৪-০-২৪-১, সাকিব ৩-০-৩০-০, তাসকিন ৪-০-২৫-২, মুস্তাফিজ ৪-০-১৭-৩, রিশাদ ৪-০-২২-৩, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৪-০)
বাংলাদেশ: ১৯ ওভারে ১২৫/৮ (তানজিদ ৩, সৌম্য ০, লিটন ৩৬, শান্ত ৭, হৃদয় ৪০, সাকিব ৮, মাহমুদউল্লাহ ১৬*, রিশাদ ১, তাসকিন ০, তানজিম ১*; ধানাঞ্জয়া ***, থুশারা ৪-০-১৮-৪, থিকশানা ৪-০-২৫-০ হাসারাঙ্গা ৪-০-৩২-২, পাথিরানা ৪-০-২৭-১, শানাকা ১-০-১১-০)
ফল: বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: রিশাদ হোসেন
Discussion about this post