ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে দাপটে পথ চলছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। এবারের লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে উড়িয়ে দেওয়ার পর হারাল সিটি ক্লাবকে। আজ শুক্রবার ছুটির দিনে বিকেএসপির মাঠে সিটির বিপক্ষে অনায়াসে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে লিজেন্ডসরা।
এদিন লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ব্যাটারদের কাজটা সহজ করে দেন বোলাররই। আলাউদ্দিন বাবু ও আব্দুল হালিমের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সিটি ক্লাব আটকে যায় মাত্র ১৮৭ রানে। বোলারদের গড়ে দেওয়া সেই ম্যাচে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখে রূপগঞ্জকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তার অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংসে ভর করে ৭৭ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে লিজেন্ডসরা।
সাভারের তিন নম্বর মাঠে টস জিতে সিটি ক্লাবকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ। অধিনায়ক মুমিনুল হকের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক করে দেন বোলাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলেছে দলটি। ওপেনার সাদিকুর রহমান উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখে লম্বা সময় দলকে টানলেও সমর্থন পাননি অন্য প্রান্তে!
সেঞ্চুরি মিস করার আক্ষেপ সঙ্গী করে সাদিকুর ফেরেন ৯৬ রানে। ১৮৭ রানে শেষ হয় সিটি ক্লাবের ইনিংস। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ৪টি করে উইকেটে নেন আব্দুল হালিম ও আলাউদ্দিন বাবু। বাকি দুটি উইকেট শিকার করেন অভিজ্ঞ শুভাগত হোম।
এরপর জবাব দিতে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও একপ্রান্ত আগলে খেলেন সাদমান। আগের ম্যাচে করেন হাফসেঞ্চুরি। এবার শতকও পেতে পারতেন! ১০৯ বলে অপরাজিত ৯১ রানের অনবদ্য একটা ইনিংস খেলে ৭৭ বল আগে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন জাতীয় দলের এ টেস্ট ওপেনার। দলকে জিতিয়ে ম্যাচসেরা সাদমান।
রিজওয়ান চৌধুরীকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন সাদমান। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে নাইমুর রহমান নয়নের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান। এরপর অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে আরেকটি জুটি গড়েন সাদমান। কিন্তু ইফরান হোসেনের বলে ৩২ রান করা মুমিনুল এলবিডব্লিউয়ের শিকার হলে ভাঙে ৫৫ রানের জুটি।
তারপর সাদমান টানা দুই চারের মারে ৬৫ বলেই নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলেন। তার ব্যাটে করেই জয়ের পথে থাকে দলটি। শেষ দিকে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ১৮ ও শামিম পাটোয়ারি ২ রানে ফিরলেও অনায়াস জয় তুলে নেয় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। সাদমানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করেই মৌসুমে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
সিটি ক্লাব: ৪৬.২ ওভারে ১৮৭/১০ (সাদিকুর ৯৬, হাসান ৬, কমল ১, রাফসান ১৮, নাইম ৩৪, রিপন ০, মইনুল ৬, ইফরান ৪, সঞ্জিত ৫, নয়ন ৪, মেহেদি ১*; আল আমিন ৮-১-৩৪-০, হালিম ৮.২-০-৪৪-৪, শুভাগত ১০-০-২৯-২, আলাউদ্দিন ১০-০-৩২-৪, শামীম ২-০-৯-০, শহিদুল ৬-০-২৫-০, রিজওয়ান ২-০-১০-০)।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৩৭.১ ওভারে ১৮৮/৫ (তুষার ৫, সাদমান ৯১*, রিজওয়ান ৩৪, মুমিনুল ৩২, আমিনুল ১৮, শামীম ২, শুভাগত ২*; ইফরান ৮-১-৪০-১, মেহেদি ২.১-০-২২-০, সঞ্জিত ৭-০-২৭-০, নয়ন ৮-১-৩৪-১, রাফসান ৫.৫-০-৩৩-০, মইনুল ৩-০-১৮-০, নাইম ২-০-৬-১, সাদিকুর ১.১-০-৮-১)।
ফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: সাদমান ইসলাম।
Discussion about this post