বড্ড দেরিতে নিজেদের খুঁজে পেলো দল। প্রথম দুই ওয়ানডেতে এলোমেলো খেলে সিরিজ হারিয়েছিল আগেই; তবে স্বস্তি এটাই বড় জয়ে পথে ফিরে হোয়াইটওয়াশ থেকে বাঁচল বাংলাদেশ।
এমনিতে লক্ষ্যটা বড় ছিল না। তারপরও শুরুতে নাঈম শেখের (০) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে এসে শান্তও (১১) পারলেন না টিকতে। এরপর সাকিব- লিটন ৬১ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন। সাকিব ৩৯ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তারপর হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন। অধিনায়ক ৬০ বলে ৫৩ ও হৃদয় ১৯ বলে ২২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। ২ ম্যাচ হেরে সিরিজ আগেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এই জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল তারা।
প্রথম দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হেরে গেলেও শেষের জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল লিটন দাসের দল। ৯ বছর ধরে ওয়ানডেতে দেশের মাঠে হোয়াইটওয়াশড না হওয়ার ধারাও অব্যাহত থাকল টাইগারদের।
শরিফুল ইসলাম ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ২১ রানে শিকার করেন ৪ উইকেট। আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ নেন ২ উইকেট। সঙ্গে তিন স্পিনারের সংযোগে আফগানরা গুটিয়ে যায় ১২৬ রানে। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও নাজমুল হোসেন শান্তকে হারালেও জিততে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বল হাতে চমক দেখালেন বোলাররা। তার পথ ধরে চট্টগ্রামের মাঠে ৪৫.২ ওভারে ১২৬ রানে অলআউট আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। ২০১৬ সালে মিরপুরে তাদের ১৩৮ রানে অলআউট করেছিল টাইগার বোলাররা।
দুপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানদের ১২৬ রানে থামায় স্বাগতিকরা। এই ম্যাচে পেসার একজন কম নিয়ে একাদশ গড়লেও মূল কাজ করে দেন পেসাররা। শরিফুল ইসলাম নতুন বলে দারুণ স্পলে ৩ উইকেট শিকার করেন। ২১ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ নতুন বলে উইকেট নেন একটি, পুরোনো বলেও এক উইকেট তুলেন।।
সাকিব আল হাসানও বল হাতে সফল। এই অভিজ্ঞ স্পিনার ১০ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৩ রান দেন, তুলেন ১ উইকেট। এরমধ্যে ৩২ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর উইকেটে গিয়ে ফিফটি করেন আজমতউল্লাহ ওমারজাই। ৬৮ রানে ৭ উইকেট হারানো দল ১২৬ করে তার ব্যাটে। তিনি করেন ৫৬ রান।
এবার দুই দলের টি-টুয়েন্টি সিরিজ। দুই ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ। ১৪ ও ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে দুটি টি-টুয়েন্টি। দুটি ম্যাচই হবে সিলেটের মাঠে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আফগানিস্তান: ৪৫.২ ওভারে ১২৬/১০ (গুরবাজ ৬, ইব্রাহিম ১, রহমত ০, শাহিদি ২২, নবি ১, নাজিবউল্লাহ ১০, ওমারজাই ৫৬, রহমান ৪, জিয়া ৫, মুজিব ১১, ফারুকি ০*; শরিফুল ৯-১-২১-৪, তাসকিন ৮.২-১-২৩-২, মিরাজ ৯-১-৩৫-১, সাকিব ১০-১-১৩-১, তাইজুল ৯-০-৩৩-২)।
বাংলাদেশ: ২৩.৩ ওভারে ১২৯/৩ (নাঈম ০, লিটন ৫৩, শান্ত ১১, সাকিব ৩৯, হৃদয় ২২,; ফারুকি ৫-১-২৬-২, মুজিব ৭-১-৩৪-০, জিয়া ৩.৩-০-২২-০, ওমারজাই ২-০-১১-০, রহমান ৪-০-২৭-০, নবি ২-০-৭-১)।
ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: শরিফুল ইসলাম
সিরিজ: আফগানিস্তান ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-১ এ জয়ী
Discussion about this post