ঘটনাবহুল ৪৮ ঘন্টা! বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুই দিন ধরে একের পর এক রোমাঞ্চ, নাটকীয়তা। যেখানে দুঃখ-আনন্দ সবই আছে। শেষটাতে এসে হাসি ফুটল সবার মুখে। আর সেই মঞ্চে মাশরাফি বিন মুর্তজার অংশগ্রহণও থাকলো। এইতো বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের আকস্মিক ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। তারপর নানা ঘটনা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এসে মিলল সুখবর! ঢাকায় এসে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিদ্ধান্ত বদলালেন তামিম। গণভবন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তামিম। তারপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পোস্ট দিয়েছেন তামিম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অফিশিয়াল পেজ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তামিম লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে না বলতে পারি না।’
ছবিতে তামিমের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী আয়েশা ইকবালও। তার আগে সাংবাদিকদের তামিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন এই তারকা ক্রিকেটার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তামিমের সাক্ষাতের সময় ছিলেন সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজাও।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরা তামিমকে দুপুরে গণভবনে ডাকেন প্রধানমন্ত্রী। তামিমের সঙ্গে তার স্ত্রী ছাড়াও ছিলেন মাশরাফি, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বেরিয়ে তামিম ও পাপন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেও মাশরাফি বলেননি। কিছুক্ষণ পর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইনস্টাগ্রাম থেকে দুটি ছবি পোস্ট করে মাশরাফি লিখেন, ‘আবার দেখা হবে, এ দেখাই শেষ দেখা নয়, ইনশাআল্লাহ।’
তামিমের অবসরের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে মাশরাফি ভূমিকা রেখেছেন বলে তামিম নিজেই জানান, ‘তাতে (সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে) অবশ্যই পাপন (নাজমুল হাসান) ভাই ও মাশরাফি ভাইয়ের বড় ভূমিকা ছিল। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে নিয়েছেন। পাপন ভাই সাথে ছিলেন।’
বৃহস্পতিবার তামিমের আকস্মিক অবসরের পর মাশরাফি ফেসবুকে নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ‘তোকে যতটুকু চিনি, তাতে তোর এই সিদ্ধান্তকে আমি অনায়াসে পোস্টমর্টেম করতে পারতাম। কিন্তু তা করব না, কারণ ওই যে তোর নিজস্ব সিদ্ধান্তকে অবশ্যই সম্মান জানানো উচিত।’
Discussion about this post