সেরা সময়টা যেন পেছনে ফেলে এসেছেন তিনি। ব্যাটে রান নেই। ছিটকে গেছেন জাতীয় দল থেকে। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও হতাশ করা পারফরম্যান্স। ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে মোহামেডানের হয়ে মঙ্গলবার সৌম্য সরকার করলেন ৯ রান। এভাবেই ব্যর্থতার মিছিলে সৌম্য।
অথচ তুমুল সম্ভাবনার নাম ছিলেন তিনি। জাতীয় দলে সুযোগও এসেছিল একাধিকবার। কিন্তু দেখা পাননি সাফল্যের। তাইতো তাকে নিয়ে হতাশাই শোনালন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে সৌম্যকে নিয়ে আক্ষেপ করলেন তিনি।
জাতীয় দলরৈ নির্বাচক প্যানেলের সদস্য বললেন, ‘দেখুন, সৌম্যর কাছে যে প্রত্যাশা সে অনুযায়ী পাচ্ছি না। কিছুদিন আগেও জাতীয় দলে ছিল। বাংলাদেশের পক্ষে তার অনেক ভালো পারফরম্যান্স আছে। ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স। এখন প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স পাচ্ছি না। ও এখনও আমাদের চিন্তাভাবনার মধ্যে আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করলে আমাদের পুল আরও বড় হয়। আমরা বিশ্বাস করি, ওর সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। একটু হতাশ তো অবশ্যই।’
ঢাকা লিগে ৯ ম্যাচে এবার সৌম্য করেছেন ১৬১ রান। সর্বোচ্চ ৫৬। এক ম্যাচেই ৪১। বাকি সব ম্যাচে আউট চটজলদি। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগেও (বিসিএল) ছিলেন ব্যর্থ! ৪ ম্যাচে ১৩৮ রান।
গত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেন সৌম্য। অস্ট্রেলিয়ায় ৪ ম্যাচে মাত্র ৪৯ রান করেন। তারপরই জাতীয় দল থেকে আউট।
হাবিবুল বাশার সুমন বলছিলেন, ‘ওর সাথে সবাই কথা বলছে। যে মানসিক সমর্থন দরকার সেটা সবসময় দেওয়া হয়। মাঝেমাঝে ক্রিকেটারদের নিজেকেই নিজে বাঁচাতে হয়। ও কিন্তু অনেক দিন ধরে খেলছে, মোটেও নতুন ক্রিকেটার না। যথেষ্ট অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। মানসিক সমর্থন তো সবসময় পায়। নিজেকেই ঠিক করতে হবে, কীভাবে খেলতে হবে সেটা নিজেকেই বের করতে হবে। সব ব্যাটসম্যানের একটা ব্যাটিং পরিকল্পনা থাকে, একটা নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামে। সেটা হতে পারে কোন বোলারকে মারবে, কোন বোলারকে মারবে না, কোন দিক ছোট, কোন দিকে বাতাস আছে। এমন সব ব্যাটারেরই কিছু বেসিক পরিকল্পনা থাকে। সৌম্যকে নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনা ঠিক করতে হবে, কীভাবে ও ব্যাটিং করতে চায়। নিজের ব্যাটিং বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। ওকে বোঝানোর কিন্তু কিছু নেই। ওর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সাফল্য আছে। বড় বড় দলের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ইনিংস আছে। ওকে কিছু বোঝানোর নেই। ওকে নিজেই বুঝতে হবে।’
Discussion about this post