অনিশ্চয়তার মেঘ কাটল। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনের উদ্যোগ নিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও স্থানীয় প্রশাসন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই মাঠে খেলা ফেরানোর সিদ্ধান্তে এসেছে বিসিবি, বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বগুড়ার মাঠ বিষয়ক এক সভার পর এসেছে সুখবর। রোববারই মাঠ পুনর্বাসনের কাজ শুরুর কথা জানাল বিসিবি।
এর আগে গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করে শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে নিজেদের মালামাল ও লোকবল সরিয়ে নেয় বিসিবি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল জেলা ক্রীড়া সংস্থা।বিসিবির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েক দফা আন্দোলন করে স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা।
প্রায় এক মাস ধরে সুখবর পেলো বগুড়ার ক্রীড়াপ্রেমীরা। শনিবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (প্রশাসন) শেখ হামিম হাসান, বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি, বিসিবি তিন পরিচালক মাহবুব আনাম, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, আকরাম খান ও বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মিলন।
শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানান বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দার বলেন, ‘শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ওভাবেই থাকছে এবং বিসিবি টেক ওভার করছে। রোববার থেকে কার্যক্রম শুরু হবে। আমাদের অধীনে এনে এটাকে পরিচর্যা করতে হবে আগে। এরপর খেলা কী হবে, কার খেলা হবে এসব মাঠ বিষয়ক কমিটি ঠিক করবে। যেকোনো খেলার আগেই আমরা আগে মাঠ বিষয়ক কমিটিতে পাঠাই। উনারা অনুমোদন দিলে তবেই খেলা হয়। বয়সভিত্তিক, সিসিডিএম, গেম ডেভেলপমেন্ট, নারী দল, এইচপি যাই হোক না কেন, মাঠ প্রস্তুত হলে মাঠ বিষয়ক কমিটিতে পাঠানো হবে। উনারা সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আগে আমরা মাঠটা টেক ওভার করতে চাই। আগামীকাল থেকেই সেটা করা হবে। আমাদের মাননীয় বোর্ড সভাপতিও (নাজমুল হাসান) সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করতে।’
সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান বলেন, ‘ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী (জাহিদ আহসান রাসেল), (নাজমুল হাসান) পাপন ভাই ও সকল বোর্ড কর্মকর্তাকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি যে, তারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। বগুড়ায় আন্তর্জাতিক মানের খেলার মাঠ থাকলেও, আমাদের স্থানীয় খেলাগুলো চালানোর কোনো মাঠ ছিল না। যে কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছিল।’
বিসিবির মাঠ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম বলেন, ‘জাতীয় দলের প্রথম ৬ মাসের খেলা সমাপ্তির পথে। অনূর্ধ্ব-১৯ ও ‘এ’ দলের কিছু খেলা আছে। যেগুলো এরই মধ্যে ভেন্যু চূড়ান্ত। আমর দেখব কোনো কিছু করা যায় কি না। যেহেতু আন্তর্জাতিক সূচি জুন-জুলাইয়ের আগে নেই, সেহেতু হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে। উনাদের এখন লিগ চলছে, এটা তো বন্ধ করা উচিত হবে না।’
Discussion about this post