আয়ারল্যান্ডকে নিয়ে রীতিমতো খেলল বাংলাদেশ দল। বৃহস্পতিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে অনায়াস জয়। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ উইকেটে জেতার কীর্তি গড়ল টাইগাররা।
সিলেটের মাঠে ১০২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল-লিটন দাসের ব্যাটে ১৩.১ ওভারে জয়ের বন্দরে পা রাখে বাংলাদেশ। লিটন ৫০ ও তামিম ৪১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিকরা।
অবশ্য ব্যবধানটা ৩-০ হতে পারতো। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৮৩ রানে জিতে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানে জয়ের কীর্তি গড়ে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দলীয় রেকর্ড রান (৩৪৯) রান করলেও বৃষ্টিতে সর্বনাশ। পরিত্যক্ত হয় সেই ম্যাচ। তবে স্বস্তির খবর এটাই- সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এর চেয়ে দ্রুত জয় রয়েছে মাত্র একটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৯ সালে ৪৫ রানের লক্ষ্য মাত্র ১১.৫ ওভারে করে ফেলেছিল তারা।
লক্ষ্যটা একেবারেই ছোট। তারপরও রান তোলায় আক্রমণাত্মক ভঙ্গি ছিল তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের। দুজন মিলে গড়েন বাংলাদেশের রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো শতরানের ওপেনিং জুটি। ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলেন লিটন। ১০ চারে ৩৮ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন এই ওপেনার। তামিমের ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪১ বলে করেন ৪১ রান।
যদিও ম্যাচের নায়ক তিন পেসার হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও ইবাদত হোসেন। তারা তিনজন মিলে নিয়েছেন পুরো ১০ উইকেট। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এটি রেকর্ড! ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে হাসান ৮.১ ওভারে এক মেডেনসহ ৩২ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। তাসকিন ৩ ও ইবাদত হোসেন তুলেন ২ উইকেট।
বিস্ময়কর হলেও সত্য সাকিব আল হাসানকে এক ওভারও করতে হয়নি। দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে করেন ৪ ওভার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আয়ারল্যান্ড: ২৮.১ ওভারে ১০১ (ডোহেনি ৮, স্টার্লিং ৭, বালবার্নি ৬, টেক্টর ০, টাকার ২৮, ক্যাম্পার ৩৬, ডকরেল ০, ম্যাকব্রাইন ১, অ্যাডায়ার ৩, হিউম ৩, হামফ্রেজ ৮*; হাসান ৮.১-১-৩২-৫, তাসকিন ১০-১-২৬-৩, ইবাদত ৬-০-২৯-২, নাসুম ৩-০-১১-০, মিরাজ ১-০-৩-০)
বাংলাদেশ: ১৩.১ ওভারে ১০২/০ (তামিম ৪১, লিটন ৫০; অ্যাডায়ার ৩-০-২৯-০, হিউম ৩-০-১৫-০, হামফ্রেজ ৪-০-৩৬-০, ক্যাম্পার ৩.১-১-২১-০)
ফল: বাংলাদেশ ১০ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২-০তে জয়ী।
ম্যাচসেরা: হাসান মাহমুদ
সিরিজসেরা: মুশফিকুর রহিম
Discussion about this post