রোববার কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সিলেটের দেওয়া ১২৬ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সুনীল নারিনের তাণ্ডবে ঝোড়ো শুরু পেয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এরপর দ্রুত কিছু উইকেট হারালেও মাঝদিকে মঈন আলির ঝড় ও শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে চড়ে তিন ওভারের বেশি বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
মিরপুর শেরে-ই বাংলা স্টেডিয়ামে চলতি বিপিএল আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে কুমিল্লার জয় এসেছে ৪ উইকেটের ব্যবধানে। এই জয়ে আবারও বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
সিলেটের দেওয়া ১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলীয় ৩২ রানে ফিরে যান ওপেনার লিটন কুমার দাস। ১০ বলে সাত রানের অস্বস্তিকর ইনিংস আসে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।
তবে ততক্ষণে অন্যপ্রান্তে আরেক ওপেনার সুনীল নারীন রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন সিলেটের বোলারদের উপর। ইনিংসের ৫ম ওভারে ফেরার আগে এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বাঁহাতি ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ বলে তিন চার ও চার ছক্কায় ৩৯ রানের টর্নেডো ইনিংস।
এর আগে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের দেখা পায় ইমরুল কায়েসের দল। শুরুতে আন্দ্রে রাসেলের বলে ফিরে যান গাফারি। দুই বল পর রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন তৌহিদ হৃদয়, কোনো রান না করেই। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে জাকির হাসান ফেরান মঈন আলী। মাত্র ১৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সিলেট।
এরপর শান্তর সাথে মাশরাফি ৫৬ রানের জুটি গড়েন। যা ভাঙেন রাসেল। নবম ওভারে তার শিকার হওয়ার আগে ১৭ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৬ রান করেন মাশরাফি। ঠিক পরের ওভারেই তানভীর হাসানের বলে বোল্ড হন শান্ত। ২৯ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৮ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর মুলত ধস নামে সিলেটের ব্যাটিংয়ে। ভেঙে যায় তাসের ঘরের মতো।
তিন ওভার বাকি থাকতেই ১২৫ রানে অলআউট হয় তারা। মাঝে দিয়ে ২২ বলে ৪ চারে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। মাঝে দিয়ে ২২ বলে ৪ চারে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তানভীর, রাসেল ও মুস্তাফিজুর রহমান।
Discussion about this post