উৎসবের একটা মঞ্চ তৈরিই ছিল! মনে হচ্ছিল বড়দিনে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে লেখা হবে বড় জয়ের এক গল্প। ভারতের বিপক্ষে স্বল্প পুঁজি নিয়েও জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আশাভঙ্গে শেষ ঢাকা টেস্ট!
অথচ রোববার মিরপুরের সকালটা ছিল বাংলাদেশেরই। শুরুতেই ৩ উইকেট শিকার। কিন্তু এরপরই একটি ক্যাচ মিস আর একটি জমাট জুটিতে সর্বনাশ। টেস্টের চতুর্থ দিন সকালে জয়ের সুবাস পেলেও দুপুরেই দুঃসংবাদ। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শ্রেয়াস আইয়ার জয়টা কেড়ে নিলেন বাংলাদেশের। হারা ম্যাচে ভারতকে ৩ উইকেটের জয় এনে দিলেন তারা।
ভারত টেস্ট সিরিজ জিতে নিল ২-০ ব্যবধানে। এর আগে ওয়ানডে সিরিজটা অবশ্য জিতেছিল বাংলাদেশই, ২-১ ব্যবধানে।
মিরপুরে ৭৪ রানে ৭ উইকেট হারানো দল আরও কোনো উইকেটই হারাল না শ্রেয়াস ও অশ্বিনের দাপটে। অষ্টম উইকেটে ৭১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ভারতকে মনে রাখার মতো এক জয় এনে দেন। অথচ সকালে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের আঘাতে কেঁপে উঠেছিল ভারত। তারপর শ্রেয়াস-অশ্বিন দারুণ লড়লেন। তাদের কাছেই হেরে গেল বাংলাদেশ।
৪৭তম ওভারে মিরাজকে ছক্কা ও দুটি চার মেরে ভারতকে জয় এনে দেন অশ্বিন। ৬২ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ২৯ রানে নটআউট আইয়ার। অথচ ১ রানে জীবন পেয়েছিলেন অশ্বিন। তারপর যা হবার তাই হলো। মিরাজের ১ ওভারে ১৬ রান নিয়ে শেষ করেন ম্যাচ।
১৪৫ রানের টার্গেটে নেমে ৩ উইকেটে জিতল ভারত। চতুর্থ দিন প্রথম সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ১০০ রান, বাংলাদেশের ৬ উইকেট। এরপর ৩ উইকেট দ্রুত তুলে টাইগাররা। অশ্বিনকেও দ্রুত ফেরানোর সুযোগ আসে। মিরাজের বলে অশ্বিন শর্ট লেগে ক্যাচ দিলে তা হাতে জমাতে পারেন নি মুমিনুল হক।
দারুণ এক জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হতাশাই সঙ্গী হলো লাল-সবুজেদের। হার দিয়ে, হোয়াইটওয়াশের কষ্টে ২০২২ সাল শেষ বাংলাদেশের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২২৭/১০
ভারত ১ম ইনিংস: ৩১৪/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৩১/১০
ভারত ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ১৪৫; ৪৭ ওভারে ১৪৫/৭ (আকসার ৩৪, উনাদকাট ১৩, রিশাভ ৯, শ্রেয়াস ২৯, অশ্বিন ৪২; সাকিব ১৪-০-৫০-২, তাইজুল ১১-৪-১৪-০, মিরাজ ১৯-৪-৬৩-৫, তাসকিন ১-০-৪-০, খালেদ ২-০-১২-০)।
ফল: ভারত ৩ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে ভারত ২-০তে জয়ী।
ম্যাচসেরা: রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
সিরিজসেরা: চেতেশ্বর পুজারা।
Discussion about this post