চট্টগ্রামের মাঠে রীতিমতো ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন তিনি। তার পথ ধরে অসাধারণ এই কীর্তি যে গড়ে ফেলেছেন ইশান কিষান। ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করাদের তালিকায় উঠে গড়লেন বিশ্বরেকর্ড। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ১২৬ বলে দ্বিশতক করেন ইশান। ইনিংসে তখন ৯ ছক্কার সঙ্গে ২৩ চার। এটিই ওয়ানডেতে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি। আগের সেরা ছিল ক্রিস গেইলের, ১৩৮ বলে।
ওয়ানডে ফরম্যাটে সপ্তম প্লেয়ার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন ইশান। সব মিলিয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে নবম ডাবল সেঞ্চুরি।
ভারতের হয়ে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন ইশান। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে এই সংস্করণে তিনটি দ্বিশতক রোহিত শর্মার। একটি করে বিরেন্দর শেবাগ ও শচিন টেন্ডুলকারের। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে শনিবার আরও কিছু রেকর্ড গড়লেন তিনি।
চলুন সব রেকর্ডে চোখ বুলিয়ে নেই-
# ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি
( ১২৬ বলে, আগের দ্রুততম ক্রিস গেইলের ১৩৮ বলে)
# ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরিয়ান
(২৪ বছর ১৪৫ দিন। আগের সর্বকনিষ্ঠ রোহিত শর্মা, ২৬ বছর ১৮৬ দিন)
# ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে ডাবল সেঞ্চুরি
(১০ ইনিংসে। আগের সবচেয়ে কম ফাখার জামান ১৭ ইনিংসে )
# বাংলাদেশের মাঠে প্রথম ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরি
(আগের সর্বোচ্চ শেন ওয়াটসনের ১৮৫*)
# বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরি
(আগের সর্বোচ্চ চার্লস কভেন্ট্রির ১৯৪*)
#বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ভারতের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস
(আগের সর্বোচ্চ বিরেন্দর শেবাগের ১৭৫*)
মাত্র ১২৬ বলে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন ইশান। এর আগে ১৩৮ বলে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিজ গেইল। উইন্ডিজ কিংবদন্তির চেয়ে ১২ বল কম খেলে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন ভারতের এই ব্যাটার। টাইগার বোলারদের হতাশ করে ৪৯ বলে ফিফটি করেন তিনি। ফিফটি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে খেলেন ৩৬ বল। ৮৫ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে যান।
মুম্বাইয়ের ক্রিকেটার সেঞ্চুরি থেকে ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে মাত্র ৪১ বল খেলেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ইনিংসে ছিল জিম্বাবুয়ের চার্লস কভেন্ট্রির। ২০০৯ সালে বুলাওয়াওতে ১৯৪ রান করেন তিনি। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে ইশান খেলেন ২১০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ১৩১ বলের ইনিংসে ছিল ২৪ চার ও ১০ ছক্কা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ৩৪ বাউন্ডারি মারার রেকর্ডও এখন ইশানের। শেন ওয়াটসনের ২০১১ সালে ১৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পথে ১৫টি করে ছক্কা-চারে মোট ৩০ বাউন্ডারি হাঁকান।
Discussion about this post