যদি-কিন্তুর হিসাবে টিকে ছিল ভারত। কিন্তু সেই সুতোর ওপর থাকা ভাগ্যটাও নিজেদের হাতে ছিল না। তারা তাকিয়ে ছিলেন পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচে। যেখানে অঘটন প্রায় ঘটেই যাচ্ছিল। কিন্তু তেমন কিছু হতে গিয়েও হলো না! শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের চাই ১১ রান। আফগানিস্তানের দরকার ১ উইকেট। তখনই কীনা ফজলহক ফারুকি সর্বনাশ করলেন। তার দুটি ফুল টস বলে পরপর দুই ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে রোমাঞ্চ ছড়ানো জয় এনে দিলেন নাসিম শাহ।
বুধবার এশিয়া কাপের ‘সুপার ফোরে’ ১ উইকেটের জয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের ১২৯ রান টপকে যায় তারা ৪ বল আগেই। এই জয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে শ্রীলঙ্কার। বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে রোহিত শর্মার ভারতের।
শারজাহর উইকেটে এদিন রান তুলতে বেশ বেগই পেয়েছে দুই দল। লো স্কোরিং ম্যাচটাও দারুণ উত্তাপ ছড়াল। যেখানে পাকিস্তানের শাদাব খান তুললেন ২৬ বলে ৩৬ রান। যা ইনিংস ম্যাচের সর্বোচ্চ। ২৭ রানে একটি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা তিনি। তবে শেষটাতে চমক দেখান চলতি এশিয়া কাপ দিয়ে টি-টুয়েন্টি অভিষিক্ত নাসিম। তিনি ৪ বলে ২ ছক্কায় ১৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন মনে রাখার মতো এক জয়!
এবার ফাইনালের উত্তাপ। ১১ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ফাইনালে লঙ্কানদের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১২৯/৬ (জাজাই ২১, গুরবাজ ১৭, ইব্রাহিম ৩৫, জানাত ১৫, নাজিবউল্লাহ ১০, নবি ০, ওমরজাই ১০*, রশিদ ১৮*; নাসিম ৪-০-১৯-১, হাসনাইন ৪-০-৩৪-১, রউফ ৪-০-২৬-২, নওয়াজ ৪-০-২৬-২, শাদাব খান ৪-০-২৭-১)
পাকিস্তান: ১৯.২ ওভারে ১৩১/৯ (রিজওয়ান ২০, বাবর ০, ফখর ৫, ইফতিখার ৩০, শাদাব ৩৬, নওয়াজ ৪, আসিফ ১৬, খুশদিল ১, রউফ ০, নাসিম ১৪*, হাসনাইন ০*; ফারুকি ৩.২-০-৩১-৩, মুজিব ৪-০-১২-০, ফরিদ ৪-০-৩১-৩, রশিদ ৪-০-২৫-২, নবি ৩-০-২২-০, ওমরজাই ১-০-৬-০)
ফল: পাকিস্তান ১ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: শাদাব খান
Discussion about this post