প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা হলো না! যদিও তিনি লড়েছেন। বল হাতে উজাড় করে দিয়েছেন নিজেকে। নেতৃত্বও দিয়েছেন সামনে থেকে। কিন্তু জেতা হয়নি। টি-টুয়েন্টির ক্যাপ্টেন্সিতে ফেরার ম্যাচটা রঙিন হতে পারতো সাকিব আল হাসানের। কিন্তু ব্যাট-বল দুটোতেই আক্ষেপ ছড়িয়ে হেরেই গেল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হারলেও সাকিব ঠিকই পা রেখেছেন অভিজাত এক ক্লাবে।
মঙ্গলবার শারজায় এশিয়া কাপের ম্যাচে টস করতে নেমেই পা রেখেছেন ১০০ ম্যাচের ক্লাবে। তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে শততম টি-টুয়েন্টি খেলার মাইলফলকে নাম লিখিয়েছেন সাকিব। উঠেছেন অনন্য এক উচ্চতায়!
এদিনই তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টিতে নেতৃত্বের অভিষেকটাও হয়ে গেল সাকিবের। যদিও আক্ষেপ ছড়াবে ম্যাচটাতে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও জেতা হলো না! ৭ উইকেটে হারল বাংলাদেশ দল। ম্যাচে মোসাদ্দেক হোসেন ৩১ বলে এক ছক্কা ও চারটি চারে থাকেন অপরাজিত ৪৮ রানে। আর সাকিব বল হাতে দেখান দাপট। তার বোলিং ফিগারটা ছিল এমন: ৪-০-১৩-১! তবে ব্যাট হাতে করেন ৯ বলে মাত্র ১১ রান।
এদিন সব মিলিয়ে ২৬ রান করতে পারলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলতেন স্বীকৃত টি-টুয়েন্টিতে ৬০০০ রান। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের মহাতারকার সামনে বৃহস্পতিবারই আছে সেই সুযোগ। যেদিন দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে লড়বে টাইগাররা। সেদিন ১৫ করলেই হয়ে যাবে ৬ হাজার!
সাকিবের শততম টি-টুয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে নেমে বাংলাদেশ করে ১২৭ রান। জবাবে নেমে মোহাম্মদ নবির দল ৯ বল বাকি থাকতেই পা রাখে জয়ের বন্দরে। ১৭ বলে ৬টি ছক্কা ও ১টি চারে অপরাজিত ৪৩ রান তুলে জয়ের নায়ক নাজিবউল্লাহ।
সাকিব ১০০ টি-টুয়েন্টি ম্যাচে ২২.৯৬ গড়ে সাকিবের সংগ্রহ ২০২১। কোনো সেঞ্চুরি নেই, আছে ১০ হাফসেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ৮৪ রান। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২২ ম্যাচে।
বল হাতে নিয়েছেন ১২২ উইকেট। সেরা ২০ রানে ৫ উইকেট। টি-টুয়েন্টিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিব।
সাকিবের আগে বাংলাদেশের হয়ে এক’শ-এর বেশি টি-টোয়েন্টি খেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। সর্বোচ্চ মাহমুদউল্লাহ ১২০ ম্যাচ ও মুশফিক খেলেছেন ১০১ ম্যাচ।
Discussion about this post