সকাল থেকেই গুঞ্জন উড়ছিল বাতাসে-চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন রাসেল ডমিঙ্গো। তিনি আর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচের পদে থাকছেন না। কিন্তু বেলা বাড়তেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিশ্চিত করল দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ পদত্যাগ করেন নি। এমন কী খোদ ডমিঙ্গোও নিশ্চিত করছেন তিনি পদত্যাগ করেন নি।
বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানান, যে খবর রটেছে তা সত্য নয়। সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডমিঙ্গো ছুটিতে রয়েছে। ওর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ও যেভাবে বলতে চেয়েছে সেভাবে সংবাদমাধ্যমে আসেনি। পদত্যাগের বিষয়টি সঠিক নয়। রাসেল কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছে। তবে আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়গুলো ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। আজকে সকালেও রাসেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। কয়েকদিন আগে সে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছে। বোর্ড সভাপতির সঙ্গেও আলাপ আলোচনা করেছে।’
অবশ্য ডমিঙ্গো গত কিছুদিন ধরেই আছেন অস্বস্তিতে। তাকে টি-টুয়েন্টির দ্বায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বিসিবি। এখন থেকে জাতীয় ওয়ানডে ও টেস্ট দলের হেড কোচের দ্বায়িত্বে থাকবেন এই প্রেটিয়া। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরিী জানালেন, ডমিঙ্গো এ আগামী মাসের শেষে অথবা অক্টোবরের শুরুতে নিয়মমাফিক দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ও তার পরিকল্পনা দ্রুত বোর্ডের কাছে জমা দেবেন।
সুজন বলেন, ‘আশা করছি সে দ্রুতই তার প্ল্যান বোর্ডকে জমা দিবে। আলোচনায় আছে আফগানিস্তানে আমাদের এ-দলের যে সফর আছে সেখানে সে যাবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে। এভাবেই পরিকল্পনা অনুযায়ী রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে।’
সেই ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে আছেন ডমিঙ্গো। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝামাঝি সময়ে ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে বিসিবি। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাড়ানো হয় চুক্তির মেয়াদ। কিন্তু ২০ ওভারের ক্রিকেটে দল সাফল্য না পাওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হয় তার কৌশল।
এশিয়া কাপের আগে দলের কোচিং স্টাফে রদবদল করে বিসিবি। ওয়ানডে এবং টেস্টের দায়িত্ব ডমিঙ্গোকে বহাল রাখলেও টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে কোচের দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এশিয়া কাপে হেড কোচ ছাড়াই খেলবে বাংলাদেশ দল। সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত বিসিবির নতুন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম এখন থেকে থাকছেন টি-টুয়েন্টির দ্বায়িত্বে।
Discussion about this post