সাকিব আল হাসান নেতৃত্বের জন্য হ্যাঁ বলে দিতেই নির্ধারিত হয়ে যায় তার ভাগ্য। টি-টুয়েন্টির অধিনায়কত্ব হারানোর সঙ্গে পর মনে হচ্ছিল দল থেকেও ছিটকে যাবেন তিনি। কিন্তু এশিয়া কাপের দলে রেখে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে আরেকটা সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার সেই প্রতিদান দেওয়ার পালা রিয়াদের।
আসলে সতীর্থের ইনজুরিতেই দলে জায়গাটা নিশ্চিত হয়েছে তার। সুযোগ যখন এসেছে তখন কাজে লাগাতে পারলে এশিয়া কাপের পর বিশ্বকাপটাও নিশ্চিত হয়ে যাবে রিয়াদের।
যদিও তার ব্যাটে রান নেই। আবার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচও দৃষ্টিকটু। এ অবস্থায় শুধু অভিজ্ঞতার কথা ভেবে তাকেও নেওয়া হলো জাতীয় দলে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলছিলেন, ‘এশিয়া কাপ অনেক বড় টুর্নামেন্ট। অভিজ্ঞতা এখানে বড় ব্যাপার। এই জায়গায় অভিজ্ঞ ক্রিকেটার প্রয়োজন বলে আমরা চিন্তা-ভাবনা করেছি।’
এর আগে ২০১৯ সালে সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর টি-টুয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয় মাহমুদউল্লাহকে। যেখানে শুরুতেই সফল ছিলেন তিনি। ভারতের দিল্লিতে জয় ধরা দেয় মুশফিকুর রহিমের দারুণ ইনিেসে। তারপর লম্বা সময়ই ২০ ওভারের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের। সব শেষ জিম্বাবুয়ে সফরে তাকে বিশ্রামে রেখে ক্যাপ্টেন করা হয় নুরুল হাসান সোহানকে। এবার ফের এই দ্বায়িত্ব পেলেন সাকিব।
আসলে অফফর্মের কারণে তোপে রিয়াদ। গত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্ব থেকে এখন পর্যন্ত ১৪ টি-টুয়েন্টি ইনিংসে মাত্র ১৭.৪১ গড়ে তার রান ২০৯, স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০০.৪৮। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টুয়েন্টিতে জায়গা পেয়ে মাহমুদউল্লাহ ২৭ বলে ২৭ রান করেন।
তারপরও তিনি কেন দলে? মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘অধিনায়কের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। যেহেতু আমরা টি-টোয়েন্টিতে ভালো অবস্থানে নেই। সেসব বিবেচনায় নিয়েই দল তৈরি করেছি।’
আগামী ২৭ আগস্ট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। আগামী ৩০ আগস্ট শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু বাংলাদেশের এশিয়া কাপ চ্যালেঞ্জ।
Discussion about this post