দুঃসময়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। কিছুতেই প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা হচ্ছে না। সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টুয়েন্টি আর ওয়ানডে সিরিজে হারের পর এবার আরেক মিশন। এ মাসেরই শেষে শুরু এশিয়া কাপ। তার আগে ঘোষণা করা হয়েছে ১৭ সদস্যের বাংলাদেশ দল। যেখানে আছেন সাব্বির রহমান। তিন বছর পর ফের জাতীয় দলে তিনি।
দল ঘোষণার পর অনেকেই বলছেন সাব্বির রহমানকে কেন ফেরানো হলো দলে? প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কেন আবারও সাব্বিরকে নেওয়া হয়েছে জাতীয় দলে।
দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক নান্নু বলেন, ‘দেখুন, সাব্বির অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখেছি আমরা, টি-টুয়েন্টিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা আছে ওর। এসব চিন্তা-ভাবনা থেকেই দলে নেওয়া হয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্ট ও আমরা সবাই আলোচনা করেই নিয়েছি।’
মিনহাজুল আবেদনীন নান্নু আরও বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় কিছু খেলোয়াড়কে এভাবে চিন্তা করতে হয়, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা দেখতে হয়। যেহেতু এবার আমাদের ইনজুরি সংখ্যা বেশি, সেদিক থেকে একজন বাড়তি মিডল অর্ডার ব্যাটার দরকার। এজন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজে ‘এ দলের হয়ে আমরা ওকে পাঠিয়েছি। সেখানে খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো অভিজ্ঞতা পাবে। আশা করছি, ওই অভিজ্ঞতা সে কাজে লাগাবে।’
ঠিক তাই, সাব্বিরের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগলে দারুণ হবে। অবশ্য একটা সময তো সাব্বির ছিলেন জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। টি-টুয়েন্টির স্পেশালিস্ট হয়ে উঠেন তিনি। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে দেশের মাঠে টি-টুয়েন্টি সিরিজের পর ছিটকে যান দল থেকে।
তারপর ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখিয়েছেন চমক! গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টুয়েন্টিতে খেলেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গত মৌসুমে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ১৫ ম্যাচে ৫১৫ রান। ১০২ এর ওপর স্ট্রাইক রেট। ১৪ ইনিংসে সেঞ্চুরি ও ফিফটি ছিল একটি করে। তাইতো খুলে গেল টি-টুয়েন্টির দরজা। জাতীয় দলে হার্ড হিটার সঙ্কটও একটা বড় কারণ।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আছেন সাব্বির। তার আগে ফিটনেস ও স্কিল ঠিক করেছেন বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পে। সেই তাকে দলে রেখে প্রধান নির্বাচক নান্নু তুলে আনলেন রূপগঞ্জের হয়ে সাব্বিরের পারফরম্যান্সের কথা। বলেন, ‘সাব্বির ডিপিএলে খুব একটা খারাপ খেলেনি। এরপর তো সে নার্সিংয়ে আছে। কিছু ক্রিকেটারকে দুটি জায়গায় নার্সি করা হচ্ছে। এইচপি স্কোয়াড ও টাইগার্সের ক্যাম্প চলছে, সেখানে তাদের ডেভেলপমেন্ট আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। যেহেতু এখন ঘরোয়া ক্রিকেট নেই, ওই ক্যাম্পে আমরা দেখছি। সেখানেও সাব্বিরকে দেখে আমরা নিয়েছি।’
২৭ আগস্ট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। আগামী ৩০ আগস্ট শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু বাংলাদেশের এশিয়া কাপ চ্যালেঞ্জ।
এশিয়া কাপের বাংলাদেশ দল-
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), এনামুল হক বিজয় (উইকেটরক্ষক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদী, সাইফ উদ্দিন, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন, পারভেজ ইমন, নুরুল হাসান সোহান ও তাসকিন আহমেদ।
Discussion about this post